সুজন কৈরী : [২] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহযোগি পরিচালক আয়েশা আক্তার বলেন, লকডাউনের ফলে আগের চেয়ে পূর্ব রাজাবাজারের মানুষের মধ্যে সংক্রমণ অনেকখানি হ্রাস পেয়েছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে গাইডলাইন অনুসরণ করতে সকলকে আহ্বান জানান তিনি।
[৩] রাজাবাজারের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মাছুম বলেন, শুরুতে আমি বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখিনি। ভেবেছিলাম সাধারণ ছুটির মতোই হবে। তবে কঠোরতা দেখে সেই ভুল ভাঙ্গে। মাছুমের স্ত্রী মরিয়ম বিলকিস বলেন, প্রথম দিকে একটু কষ্ট হলেও কড়াকড়ি লকডাউনের কারণে আমাদের এলাকায় এখন কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দিন দিন কমছে। অপর একজন বাসিন্দা ইসমত আলী বলেন, প্রথম দিকে বিরক্ত হলেও নিজেদের স্বার্থে আমরা কষ্ট সহ্য করেছি। তাই ভাল ফল পাচ্ছি।
[৪] আইইডিসিআর সূত্র বলছে, লকডাউন কার্যকরের পর পূর্ব রাজাবাজারে ১০-১৬ জুন অর্থাৎ প্রথম সপ্তাহে ১৩৭ জনের কোভিড-১৯ পরীক্ষা করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। যা মোট ফলাফলের ২৫ দশমিক ১৯ শতাংশ। কিন্তু পরবর্তী ৫ দিন অর্থাৎ ১৭ থেকে ২১ জুন পর্যন্ত পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৪ জনের। তাদের মধ্যে শনাক্ত ছিল ৭ জন। যা মোট ফলাফলের ৯ দশমিক ৪ শতাংশ। আর সর্বমোট পরীক্ষা করা হয়েছে ২০৫ জনের। পরীক্ষায় পজিটিভ হয়েছেন ৪০ জনের। যা মোট ফলাফলের ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ।
[৫] স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদুর রহমান খান ইরান বলেন, আমরা শুরু থেকে বাসিন্দাদের একটা বিষয় নিশ্চিত করতে চেয়েছি যে, তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছু ঘরের সামনেই পাবে। যাতে গেটের বাইরে যেতে না হয়। ধীরে ধীরে বাসিন্দারা সেটি বুঝতে পারছেন এবং লকডাউনে অভ্যস্ত হচ্ছেন। এতে সফলতাও আসছে। লকডাউন কার্যকরের ফলে ৫০ জনের মধ্যে ৩৫ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকীরাও সুস্থের পথে। কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য প্রায় ২৩০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং কিছু ফলাফল এখনও বিতরণ করা হয়নি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব