ছনি চৌধুরী, নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] বাংলাদেশ সরকারের একটি সর্ববৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচির নাম ভিজিডি। দুঃস্থ ও অসহায় এবং শারীরিকভাবে অসক্ষম মহিলাদের উন্নয়ন স্থায়ীত্বের জন্য খাদ্য সহায়তার পাশাপাশি তাদের স্বাবলম্বী লক্ষ্যে সরকার প্রতিমাসে মহিলাদের চাল প্রদান করে থাকে। ১০ টাকা কেজির চাল আত্মসাতের ঘটনার পর এবার হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের বিরুদ্ধে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
[৩] এ ঘটনায় অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী দুই নারী মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে তারা উল্লেখ করেন, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুল প্রায় দেড় বছর ধরে ভিজিডির সুবিধাভোগী দুই নারীর নামে বরাদ্দকৃত (প্রতিমাসে ৩০ কেজি) চাল ভিজিডির চাল আত্মসাত করে আসছেন।
[৪] শাহেলা আক্তার সালমা ও সালেহা বেগম প্রায় দেড় বছর পূর্বে ভিজিডির চালের তালিকায় নিজেদের নাম অর্ন্তভুক্তির জন্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের কাছে ছবি ও ভোটের আইডি কার্ড দেন। চেয়ারম্যান আশ্বাস দিলেও তালিকাভুক্তদের চাল বিতরণের সময় চেয়ারম্যান অপেক্ষা করতে বলেন।
অনেকদিন অতিবাহিত হলে দুই নারী চালের জন্য চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করেন। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান মুকুল তাদের নাম তালিকায় উঠেনি বলে জানান।
[৫] সুবিধাবঞ্চিতরা বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানতে পারে তালিকায় তাদের নাম রয়েছে। তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছেন চেয়ারম্যান মুকুল।
[৬] গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুুকুল বলেন, অফিসে না গিয়ে এ বিষয়ে বলতে পারবো না। ব
[৭] হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, গজনাইপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন অনিয়ম ঘটনা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। এই অভিযোগটি পেয়েছি অবশ্যই তদন্তপূবর্ক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
[৮] উল্লেখ্য, গজনাইপুর ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে তেলেসমাতির ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। এরই মধ্যে নতুনভাবে ভিজিডির চাল আত্মসাতের অভিযোগ নিয়ে তুমুল সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :