মো. সোহাগ, মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধি : [২] পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার মজিদবাড়িয়া ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কের বেহাল দশা। নির্মাণের এক বছর না যেতেই রাস্তায় দেখে মনে হয় যেন কত যুগের পুরানো রাস্তা। ছলিং উঠে গিয়ে খোয়া বেরিয়ে এসেছে। লাঠি দিয়ে সামান্য খোড়া দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পেইজ ও খোয়া।
[৩] নির্মাণের এক বছরেই সড়কের কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। বিভিবন্নস্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন কাজরে মান খারাপ হওয়ায় পটুযাখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) সরেজিমেনে পরিদর্শন করেন। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণের ফলে সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে।
[৪] উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের সূত্র মতে, গুরুত্বপূর্ণ ওই সড়কটি পূনঃনির্মাণের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিইডি’র সিসিআরআইপি প্রকল্প থেকে দরপত্র আহ্বান করে। বরগুনার মেসার্স-আল-মামুন এন্টারপ্রাইজ কাজটি পেলে ও কাজটি করেন মির্জাগঞ্জের মেসার্স আজাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী মো. আবদুস সালাম।
[৫] ১ কোটি ২৫ লক্ষ ৪৯ হাজার ৫০৯ টাকা চুক্তিতে ২০১৮ সালের ১ মার্চ ঠিকাদার কাজ শুরু করেন। ২০১৯ সালের ১৯ জুন কাজটি শেষে করেই একই তারিখে চূড়ান্ত বিল নেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কাজের শুরুতেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠলেও ঠিকাদার তাতে কোনো কর্নপাত করেননি।
[৬] স্থানীয়রা জানান, উপজেলা প্রকৌশলীর অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে তরিৎগতিতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করেই সড়কের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যেই চলাচলের জন্য সড়কটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই সড়কের বিভিন্ন অংশের মাঝখান থেকে কার্পেটিং উঠে যেতে থাকে এবং সড়কটি বিভিন্ন স্থানের পাশ দিয়ে ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক নির্মাণের নামে চলছে নিম্নমানের কাজের প্রতিযোগীতা ও ধীরগতি।
[৭] তৎকালীন সময়ে তদারকিতে থাকা দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী বর্তমানে কলাপাড়া উপ-জেলায় কর্মরত মো. মনির হোসেন বলেন, রাস্তাটি নির্মাণের সময় কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভ ছিলো।
[৮] বরগুনার মেসার্স-আল-মামুন এন্টারপ্রাইজের নামের কাজটি নেয়া মির্জাগঞ্জের ঠিকাদার মেসার্স আজাদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধীকারী মো. আবদুস সালাম বলেন, আমরা সঠিকভাবে কাজ করেছি। তবে বিটুমিন একটু খারাপ থাকার কারণে যদি সড়কের কার্পেটিং উঠে যায় তা মেরামত করে দিবো।
[৯] মির্জাগঞ্জ উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জলিল মিয়া বলেন, গত ৬ মাস আগে পটুয়াখালী নিবার্হী প্রকৌশলী ওই সড়কের প্রতিবেদন চেয়েছিল। সড়কটি পরিদর্শন করে যা দেখেছি তাই পাঠিয়ে দিয়েছি।
[১০] উপজেলা প্রকৌশলী শেখ আজিম উর রশিদ বলেন, সড়কের বিষয়ে শুনেছি কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে। তবে পটুয়াখালী জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী স্যার রাস্তাটি পরিদর্শন করেছেন। সম্পাদনা : হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :