গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ : ইউটিউবে প্রফেসর সলিমুল্লাহ খানের লেকচার শুনছি। তো এর মধ্যে ডিসকোর্স শব্দটি এল। উনি বললেন, ডিসকোর্স শুনেই লাফিয়ে উঠবেন না। জাহাঙ্গীরনগরের লোকজন তো ডিসকোর্স শুনলেই পাগল হয়ে যান। এত মজা পেলাম। আজিজ মার্কেট আর জাহাঙ্গীর নগরের পোলাপাইনদের মুখ থেকে হামেশা এরকম শব্দ শুনে মুখ টিপে হাসতাম। খুব চালু ছিল ডিকনস্ট্রাকশন। মধুতে ফেডারেশনের লোকজনের মুখে খুব শোনা যেত। আমাদের জার্নালিজম ডিপার্টমেন্টের ছেলেপেলেরাও খুব স্ট্রাকচার, স্ট্রাকচার করতো। আমাদের এক সিনিয়র বন্ধু বলতো, তোমাগো ডিপার্টমেন্টের পোলাপাইনরা যেখানে যায় সঙ্গে ক্লাস নিয়ে যায়। ঠিক মনে নাই কবেকার কথা। তবে বহু বছর আগের তো বটেই। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেইট থেকে বাসে উঠছি বাড়ি যাব বলে। গাড়িতে প্রচণ্ড ভিড়। দুই ছেলে দেখি গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যাবার উপক্রম করে ইংরেজিতে কথা বলছে। বাসের সবাই বিরক্তি নিয়ে তাকাচ্ছে। জানা গেল, তারা ইংরেজি বিভাগে সবে ভর্তি হয়েছে। ফার্স্ট ইয়ারের ঘটনা। মধুতে বসে আড্ডা দিচ্ছি। সদ্য ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয়েছে এমন এক ছেলেও বসেছে সেখানে। আরেকজনকে বলছে, তুমি টেগোরের হাংরি স্টোন পড়েছ? ওই ছেলে উঠে যেতেই হাসির রোল। ভাতের নাম অন্ন আর ক্ষুধিত পাষাণ হলো হাংরি স্টোন।
আপনার মতামত লিখুন :