লাইজুল ইসলাম ও মহসীন কবির :[২] মঙ্গলবার (২৩ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
[৩] তিনি জানান, কোভিডে মোট মারা গেছেন ১৫৪৫ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। মৃত্যুদের মধ্যে পুরুষ ৩৮ জন এবং নারী ৫ জন। ঢাকা বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬ জন, খুলনা বিভাগে ২ জন, বরিশাল বিভাগে ১ জন, সিলেট বিভাগে ১ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন মৃত্যুবরণ করেছে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে ৩০ জন, বাসায় ১২ জন এবং মৃত অবস্থায় ১ জন হাসপাতালে এসেছে।
[৪] বয়স বিশ্লেষণে করে তিনি জানান, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর ১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর ৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছর ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর ৫ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ২ জন মারা গেছে।
[৪] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৫টি পরীক্ষাগারে নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৭৫৬৩ জনের। আর পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১৬ হাজার ২৯২ জনের। শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ১১ জনের।
[৫] তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৮০ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ৪৭৬৩৫ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
[৬] অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনের নেওয়া হয়েছে ৬৮০ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনের আছেন ২১ হাজার ১১২ জন। এছাড়া আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২২০ জন, এ পর্যন্ত মোট ছাড় পেয়েছেন ৮ হাজার ১৮৫ জন। বর্তমানে মোট আইসোলেশনে আছেন ১২ হাজার ৯২৭ জন।
[৭] দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর গত ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর থেকে দিনে দিনে এর সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।