শিরোনাম
◈ ইরানের হামলার জবাব দেবে ইসরায়েল: সেনাপ্রধান ◈ সৌদিতে কোরবানি ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা ◈ শ্রম আইন লঙ্ঘনের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় স্থায়ী জামিন চাইবেন ড. ইউনূস ◈ ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে কর্মজীবী মানুষ ◈ স্বাস্থ্যখাতে নতুন অশনি সংকেত অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স: স্বাস্থ্যমন্ত্রী  ◈ কৃষি খাতে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে তিন  বছরে সাড়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ◈ বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১ শতাংশ: এডিবি ◈ বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে বিজিপির ১৪ সদস্য ◈ ৬০ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলার তালিকা প্রকাশ করুন: মির্জা ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের ◈ পাল্টা হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে ইরানের কঠোর হুঁশিয়ারি 

প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০২০, ০৭:৫১ সকাল
আপডেট : ২৩ জুন, ২০২০, ০৭:৫১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীরা দ্রুত হারাচ্ছেন অ্যান্টিবডি !

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষ পরবর্তী সময়ে আবার আক্রান্ত হবে কিনা, এমন প্রশ্ন প্রায়ই শুনতে হচ্ছে চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীদের। কভিড-১৯ নতুন রোগ হওয়ায় এ নিয়ে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা শতভাগ নিশ্চিত নন। এ নিয়ে গবেষণা চলমান। এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও কিছু গবেষণার ফল বলছে, কভিড-১৯ থেকে বেঁচে যাওয়া রোগীরা পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাসের মধ্যে পুনরায় সংক্রমিত হতে পারে। এর কারণ, তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি দ্রুত কমে যেতে পারে, তখন তাদের শরীরে যে ইমিউনিটি তৈরি হয়েছিল তাও কমে যায়।

[৩] গত সপ্তাহে প্রকাশিত একাধিক গবেষণার ফল থেকে দেখা যায়, কভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা মানুষদের শরীরে ইমিউনিটি লম্বা সময় ধরে থাকার সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কেননা রোগীরা কয়েক সপ্তাহ কিংবা কয়েক মাসের মধ্যেই তাদের আইজিজি অ্যান্টিবডি হারান। এ ধরনের অ্যান্টিবডি খুব ধীরে ধীরে শরীরে তৈরি হলেও দীর্ঘমেয়াদি ইমিউনিটি তৈরি করতে সমর্থ। গুরুত্বপূর্ণ এই অ্যান্টিবডি হারালে কভিড-১৯ জয়ী রোগীর শরীরের ইমিউনিটিও সংগত কারণেই কমতে থাকে।

[৪] আগের গবেষণাগুলো বলে আসছিল, কভিড-১৯-এ আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষই নিজেদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে পারে। যদিও এসব পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করতে পারছিল না যে অ্যান্টিবডির ঘাটতি হলে মানুষজন পুনরায় সংক্রমিত হয় কিনা।

[৫] এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ১ হাজার ৫০০ কভিড-১৯ পজিটিভ মানুষের মধ্যে ১০ শতাংশ বলছেন, উপসর্গ দেখা যাওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাদের শরীরে অ্যান্টিবডির মাত্রা ‘শনাক্তকরণের অযোগ্য’ পর্যায়ে চলে যায়। আবার পজিটিভ কিন্তু উপসর্গহীন এমন ৭৪ জন সেরে ওঠা কভিড-১৯ রোগী বলছেন, তারা সাধারণত সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার দুই থেকে তিন মাস পর অ্যান্টিবডি হারিয়েছেন।

[৬] বিপরীতে, ২০০৩ সালে প্রাদুর্ভাব ঘটা সার্স ও ২০১২ সালে প্রাদুর্ভাব ঘটা মার্সের ক্ষেত্রে সেরে ওঠা রোগীদের শরীরে অ্যান্টিবডি প্রায় এক বছর টিকে থাকত বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল নিউইয়র্ক টাইমস।

[৭] নেচার মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় গবেষকরা করোনায় আক্রান্ত কিন্তু উপসর্গহীন ৩৭ রোগীর ইমিউনিটিকে তুলনা করেন চীনের ওয়াংঝু জেলার সমসংখ্যক কভিড-১৯ রোগীর সঙ্গে, যাদের মধ্যে তীব্রভাবে ছিল নানা উপসর্গ। তারা দেখতে পান উপসর্গহীনদের মধ্যে সংক্রমণের সাড়া অতটা জোরালো নয়, তাদের ৪০ শতাংশের শরীরে আবার দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নির্ণয়যোগ্য মাত্রায় অ্যান্টিবডিও পাওয়া যায়নি, যা কিনা উপসর্গযুক্ত রোগীদের মধ্যে ১৩ শতাংশ।

[৮] ম্যানচেস্টার ইউনিভার্সিটির ইমিউনোলজিস্ট ড্যানিয়েল ডেভিস দুটি গবেষণা নিয়ে বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে, এই ফলাফল খুবই চিত্তাকর্ষক ও উদ্দীপনা জাগানো, কিন্তু আরো অধিকসংখ্যক মানুষ নিয়ে আরো বেশি গবেষণার প্রয়োজন। কেবল তখনই আমরা পরিষ্কারভাবে জানতে পারব, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর কতজন মানুষের শরীর অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তার স্থায়িত্বই বা কতদিন।’

দ্য সায়েন্টিস্ট, বণিক বার্তা, প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়