শিমুল মাহমুদ : [২] বছরের পর বছর যে শহরে কর্ম করে ভাত জুটেছে নিজের ও পরিবারের। সেই তিলোত্তমা শহরের মায়া কাটিয়ে অনেকটায় বাধ্য হয়ে গ্রামে ফিরছেন কর্মহীন মানুষ।
[৩] অনিশ্চিত জীবনে ফেরা এসব মানুষের প্রত্যাশা, করোনা উত্তর পৃথিবী হয়তো আবারও সুন্দর হবে। নতুন করে বাচঁবে মানুষ। আবারও ঘুরে দাড়াঁবে দেশের অর্থনীতির চাকা।
[৪] রাজধানীর ওয়ারীতে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন বিপ্লব রহমান। কাজ করতেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এপ্রিলে তার চাকরি চলে গেছে। ভেবেছিলেন লকডাউন উঠে গেলে নতুন কোনো কাজ পেয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামে ফিরতে হচ্ছে তার। কবে ফিরবেন জানেন না তিনি।
[৫] ঝিগাতলা এলাকার দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত বসবাস করেন নিজাম উদ্দিন। ফুটপাতে হকারী করে চলে তার সংসার। করোনার এ সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়ায় ৩ মাস বাড়ি ভাড়া দিতে পারছেন না। ভাবছেন গ্রামে ফিরে যাবেন। কিন্তু সেখানেই বা কি করবেন জানা নেই তার।
[৬] আশিকুর রহমান নামে এক বাড়িওয়ালা জানান, তার চারতলা বাড়ির দুই পরিবার মে মাসে বাসা ছেড়ে দিয়েছেন। দুমাস হতে চললো ভাড়াটিয়ার দেখা নেই। স্বাভাবিক সময়ে কখনও বাড়ি এভাবে খালি থাকে না বলে জানান তিনি।
[৭] বেসরকারিভাবে জরিপ বলছে, ৬৬ দিনের সাধারণ ছুটি আর লকডাউনে প্রায় ৫ কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আর বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক বলছে, এই সময়ে ৯৩ শতাংশ মানুষের আয় কমে গেছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :