মৌরী সিদ্দিকা : [২] এই বীর যোদ্ধা ৯১ বছর বয়সে রোববার রাত ১২টার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
[৩] বদিউজ্জামান টুনু ১৯৭১ সালে একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ৪২ বছর বয়সে তিনি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতে গিয়ে সশস্ত্র যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নেন। গেরিলাযুদ্ধের পাশাপাশি সম্মুখযুদ্ধও করেন।
[৪] ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে পাক বাহিনী বদিউজ্জামান টুনুর বড় ভাইয়ের দুই ছেলে, ছোট ভাই, ভগ্নিপতি ও ভাগ্নি জামাই নজমুল হককে হত্যা করে। নজমুল হক পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের এমএনএ (মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেমব্লি) ছিলেন।
[৫] মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান টুনুর পৈত্রিক বাড়ি রাজশাহী মহানগরের লক্ষ্মীপুরের ঝাউতলা মোড়ে। এ বাড়িতেই থাকতেন তিনি। বেশকিছু দিন ধরেই শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। বেশকিছু দিন আগে তার পা ভেঙে গিয়েছিল। এছাড়া বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছিলো। সপ্তাহখানেক আগে তিনি স্ট্রোক করেন। এরনপর তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সুস্থ হলে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার ২০ জুন তিনি আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে রামেকে ভতির পর রোববার ২১ জুন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
[৬] দুই বছর আগে বদিউজ্জামান টুনুর স্ত্রী ফিরোজা বেগম মারা গেছেন। তার দুই ছেলে তিন মেয়ে। এক মেয়ে অস্ট্রেলিয়া, অন্য দু’জন ঢাকায় এবং এক ছেলে রাজশাহীর ঝাউতলার বাড়িতে থাকেন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ