লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ প্রভাবে ইতমধ্যে কয়েক হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পর্যটন শিল্প। বন্ধ হয়ে পড়ে আছে হোটেল-মোটেল-রেস্তরা। এ কারণে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিককর্মী। তাদের সঙ্গে অনিশ্চয়তার মুখে লক্ষাধিক পরিবার। যারাও বা চাকরিতে আছেন তাদের নামসর্বশ^ বেতন দেয়া হচ্ছে।
[৩] কথা হয় কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তিনি বলেন, সবাইকে বাদ্ধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাতে হয়েছে। পুরো পাঁচতলা হোটেল দেখাশুনার জন্য দুই জন লোক আছে। পর্যটক না থাকলে বেতন কিভাবে দিবো। তাই সবাইকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
[৪] কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়ীরা জানান, লকডাউন তুলে না দিলে কিভাবে খুলবে হোটেল। কোনো ভাবেই করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তবে খেয়ে পরে বেঁচেও থাকতে হবে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে কিছু একটা করার জন্য সরকারের সংশ্লীষ্টদের কাছে আবেদন তাদের।
[৫] পর্যটন ব্যবসায়ীদের সংগঠন টোয়াবের সভাপতি তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠান বন্ধের মুখে ব্যপক ক্ষতির মুখে পরেছে ব্যসায়ীরা। বাজেটেও ব্যবসায়ীদের জন্য তেমন কোনো সুযোগ সুবিধা রাখা হয়নি। এই অবস্থায় শিল্পটিকে বাঁচিয়ে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি তৈরি করে পর্যটন শিল্পকে সীমিত হারে হলেও খুলে দেয়া প্রয়োজন।
[৬] বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জাভেদ আহমেদ বলেন, আমরা একটি স্বাস্থ্যবিধি তৈরির কাজ করছি। তবে এটি তৈরি করতে সময় লাগছে। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির কাজ শেষ করতে পারবো। তখন হয়তো সীমিত আকারে খুলে দেয়া যাবে কিছু হোটেল ও মোটেল।
[৭] জাভেদ আহমেদ বলেন, সারাবিশ্বে যেভাবে পর্যটন খুলে দেয়া হবে সেই আলোকেই একটি স্বাস্থ্যবিধি হবে। এমন ভাবে খোলা যাবে না যাতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। তাই অনেক কিছু চিন্তা করতে হচ্ছে।