আন্তর্জাতিক ডেস্ক : [২] রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিশিয়াল পত্রিকা (Krasnaya Zvezda) জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এই ভ্যাকসিনটি যৌথভাবে তৈরি করছে গামেলেয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট। তৈরি হতে থাকা ভ্যাকসিনটি দুই বছরের বেশি সময় মানুষকে করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। যদিও দেশটি ওই ভ্যাকসিনটির নাম এখনো জানায়নি। দেশটি আশা করছে, জুলাইয়ের ভেতর হিউম্যান ট্রায়াল শেষ হবে।
[৩] রাশিয়ার জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান আলেকজান্ডার গিন্সবুর্গ বলেছেন, ‘আমাদের ভ্যাকসিনটি শুধুমাত্র অ্যান্টিবডি তৈরি করছে না, পাশাপাশি দীর্ঘ সময়ের জন্য মানুষকে সুরক্ষিত রাখবে বলে আমরা প্রমাণ পেয়েছি। আমাদের ভ্যাকসিন নেয়ার পর কমপক্ষে ২ বছর নভেল করোনাভাইরাস থেকে মানুষ সুরক্ষিত থাকবে। এই সময়সীমা বেশিও হতে পারে।’
[৪] তিনি জানিয়েছেন, রাশিয়ায় টিকাদান কর্মসূচির জন্য প্রাথমিকভাবে ৭০ মিলিয়ন ডোজ তৈরি করা হবে।
[৫] কোনো প্রতিষেধক না থাকা কভিড-১৯ রোগের টিকা কিংবা ওষুধ বের করতে চীন, আমেরিকা এবং ব্রিটেনের মতো দেশ উঠেপড়ে লেগেছে। তিনটি দেশই বলছে, সেপ্টেম্বরের ভেতরে অন্তত যে কোনো কোম্পানির একটি ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। সেই ভ্যাকসিন পাওয়া গেলেও সাধারণ মানুষের হাতে আসতে এক বছরের বেশি সময় লেগে যাবে।
[৬] দুদিন আগে নাইজেরিয়া দাবি করে, তাদের দেশের গবেষকেরা শতভাগ কার্যকরী ভ্যাকসিন পেয়ে গেছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, তাদের ভ্যাকসিন প্রাণীর শরীরে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :