তাপসী রাবেয়া:[২] ‘বাংলাদেশে শিক্ষার ওপর কোভিড-১৯ এর প্রভাব’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
[৩] বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত এ সভায় আরো জানানো হয়, টেলিভিশন ক্লাসে সারাদেশে অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থী রয়েছে ৫৬ শতাংশ।
[৪] সভায় জানানো হয়, সবচেয়ে বেশি ৭৫ শতাংশ আদিবাসী শিক্ষার্থী সংসদ টেলিভিশনের ক্লাসে অংশ নিচ্ছে না। মাদরাসা, গ্রামাঞ্চল ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থীও টেলিভিশন ক্লাসে অংশ নেয়ার ব্যাপারে কিছু সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছে। ব্র্যাক বলছে, টিভি না থাকা, বিদ্যুৎ বা ক্যাবল না থাকার কারণে তারা টিভি ক্লাসের বাইরে রয়েছে।
[৫] জরিপে আরও উঠে এসেছে, টেলিভিশনের ক্লাসে যে ৪৪ শতাংশ শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে তাদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ বলছে এ সব ক্লাস তাদের কাজে লাগছে না। সারাদেশ থেকে ১৬টি জেলা বাছাই করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ হাজার ৯৩৮ জন শিক্ষার্থীর ওপর এই জরিপ করা হয়। বর্তমানে দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে অধ্যয়ন করছে ৩ কোটি ১০ লাখ শিক্ষার্থী।
[৬] সভায় প্রধান অতিথি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে নানান উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য অনলাইন এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
[৭] মন্ত্রী জানান, ৩৩৩৬ সেবায় যে কোনো মুঠোফোন অপারেটর থেকে এ নম্বরে ডায়াল করলে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাছ থেকে তার নিজ শ্রেণির পাঠদান পরামর্শ পাবে। পাঁচ মিনিট পর্যন্ত কোনো টাকা কাটা হবে না। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ