আহমেদ শামীম, সিলেট: [২] জেলার এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে টেকনিশিয়ান সঙ্কট থাকায় প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা টেস্টের নমুনা জট। প্রতিদিন ৫০০টি টেষ্ট করার সক্ষমতা থাকলেও সেখানে হয় মাত্র ১৮৮টি। যার ফলে প্রতিদিন নমুনা জট বাড়ছেই। রিপোর্ট পেতে ১৩-১৫ দিন সময় লাগে।
[৩] জানা যায়- ওসমানী কলেজের পিসিআর ল্যাবের সাথে ‘অটো সেম্পুল পিপারেটর’ নামক একটি মেশিন যুক্ত না থাকায় টেকনিশিয়ানরা ম্যানুয়ালি টেষ্ট করে থাকেন। যা ২ রাউন্ডের বেশি করা সম্ভব নয়। প্রতি রাউন্ডে ৯৩-৯৪টি টেস্ট করা সম্ভব। দুই রাউন্ড মিলে প্রতিদিন ১৮৬ বা ১৮৮ টি রিপোর্ট টেষ্ট করা সম্ভব হয়।
[৪] এ ব্যাপারে সিলেট ওসমানী হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, টেকনিশিয়ান বাড়ানো গেলে ৩ রাউন্ড বা ৪ রাউন্ড টেষ্ট করা সম্ভব। যাতে করে নমুনা জট অনেকটা কমে আসবে।
[৫] এদিকে গত ১১ জুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তায় ওসমানীর ল্যাবে টেকনিশিয়ান বাড়ানোর আহ্বান জানান। মন্ত্রী বলেছিলেন- ‘আমি জানতে পেরেছি কোভিড-১৯ টেষ্ট রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে। আমি এ ব্যাপারে কথা বলেছি। ওসমানীতে ২ শিফটে কাজ করছেন। আমি তাদেরকে বলেছি- ৩ কিংবা ৪ শিফটে কাজ করতে। তারাও আমার কথায় আশ্বাস দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই সিলেটে টেষ্ট রিপোর্ট নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছে তা আর হবে না।’ কিন্তু মন্ত্রীর আহ্বানের ১০দিন হলেও এখন আশার আলো দেখা যায়নি।
[৬] সিলেটে এ দুই ল্যাবে সমন্বয় থাকলে তারা একে অন্যের কাছ থেকে স্যাম্পল নিয়ে টেষ্ট করতে পারতো। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলে ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে কিছু নমুনা নিজ উদ্যোগে নিয়ে পরীক্ষা করতে পারতো। অন্যদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজও শাবির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারতো। কিন্তু এখানে কোনো সমন্বয় নেই।
[৭] এদিকে এই সমন্বয়হীনতার বিষয়টি জেনে সিলেট-১ আসনের এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি অতি শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের আহ্বান জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ