লাইজুল ইসলাম : [২] শুক্রবার অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (সমন্বয়) ডা. মো. জাহাঙ্গির কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবদুল কালাম আজাদ যে বক্তব্য দিয়েছেন তা ঘিরে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তিনি যে স্ক্রিপ্টটি পড়েন তা সময় স্বল্পতার কারণে ভাল করে পরীক্ষার সুযোগ পাননি। পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তার ওই বক্তব্যে অস্পষ্টতা তৈরি হতে পারে। এজন্য পরে অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তা স্পষ্ট করে দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনলাইন পঠনে স্ক্রিপ্ট ত্রুটির জন্য যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য তিনি বিনীতভাবে দু:খ প্রকাশ করছেন।
[৩] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি সারাবিশ্বে এক, দুই বা তিন মাসে শেষ হচ্ছে না। একটি সফল টিকা আবিষ্কার এবং পর্যাপ্ত জনগোষ্ঠীর মধ্যে সফল প্রয়োগ না হওয়া পর্যন্ত দেশগুলোতে করোনার অস্তিত্ব থাকবে। ফলে এটি এক বছরের বেশি এমনকি দুই বা তিন বছর বা আরও বেশি সময় স্থায়ী হতে পারে।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, যদিও আমরা মনে করি, সংক্রমণের মাত্রা অনেক হ্রাস পাবে। বাংলাদেশ একটি জনবহুল ও অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ দেশ। অপরপক্ষে করোনাভাইরাসও একটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে ভাইরাস। এ কারণে অসতর্ক চলাফেরা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে না চললে দেশে সংক্রমণের হার মোকাবিলা করা কঠিন। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ