সিরাজুল ইসলাম : [২] বিভিন্ন উপজেলায় এ রোগে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার গরু আক্রান্ত হয়েছে। এগুলোর মধ্যে এক থেকে দুই শতাংশ গরু মারাও গেছে। অনেকে বাধ্য হয়ে কসাইয়ের কাছে রোগাক্রান্ত গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন।
[৩] প্রাণিসম্পদ অধিপ্তর বলছে, কয়েক সপ্তাহ ধরে গরুর মধ্যে বিরল আরএনএ ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। এই রোগে গবাদি পশুর চামড়া ফুলে গোটা গোটা সৃষ্টি হয়। পরে এসব গোটা ফেটে ঘাঁ হয়। পশুর জ্বর আসে এবং দুর্বল হয়ে মারা যায়। বাছুরের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি।
[৪] সদর উপজেলার পৌর এলাকার বকসি পাড়া গ্রামের খামারি মোস্তাফিজার জানান, তার খামারে সাতটি গরু বিরল এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। কয়েকটি গরুর শরীরের গোটা ফেটে বড় বড় ক্ষত হয়েছে। এসব গরুর চিকিৎসায় অনেক টাকা খরচ হয়েছে।
[৫] সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিদিন গড়ে তিন থেকে পাঁচটি আক্রান্ত গরু চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে আনা হচ্ছে।
[৬] জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আব্দুল হাই সরকার জানান, খামারিরা দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত হলেও এই রোগে পশুর মৃত্যুহার কম। ভাইরাসটির সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা না থাকলেও সিন্ড্রোমেটিক ট্রিটমেন্টে পশু সুস্থ হয়ে উঠছে। পশু রোগাক্রান্ত হলে দ্রুত প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে যোগাযোগের পরামর্শ দেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :