রাজু চৌধুরী : [২] চট্টগ্রাম নগরীতে লকডাউন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বুধবার অভিযান পরিচালনা করছে।
[৩] এসময় ১৮ টি মামলায় ৮ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করে জেলা প্রশাসন।
[৪] অভিযান পরিচালনাকালে উত্তর কাট্টলীতে অপ্রয়োজনে বের হওয়ায় ১১ ব্যক্তি ও দোকান খোলা রাখায় ৭ দোকানীকে অর্থদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
[৫] বুধবার বিকাল ৩ ঘটিকা হতে সন্ধা ৭ ঘটিকা পর্যন্ত নগরীর উত্তর কাট্টলীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
[৬] অভিযানে লকডাউন থাকলেও দেখা যায় কিছু মানুষ অহেতুক অপ্রয়োজনে রাস্তায় ঘুরাফেরা করে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে যৌক্তিক কারণ না থাকায় ১১ ব্যক্তিকে অর্থদণ্ড করা হয়। উত্তর কাট্টলীর বাসিন্দা রাকিব হোসেন কে ২০০ টাকা, আব্দুল হালিমকে ২০০ টাক,আব্দুল হামিদকে ২০০ টাকা, ফারহানকে ২০০ টাকা, ইমজানকে ২০০ টাকা, সোহেলকে ২০০ টাকা, ইব্রাহিমকে ২০০ টাকা, রফিক মিয়াকে ২০০ টাকা, বাবলু মিয়াকে ২০০ টাকা, সিরাজ মিয়াকে ৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এছাড়া দোকান খোলা রাখায় ৭ দোকানিকে অর্থদণ্ড করা হয়।
[৭] এছাড়াও মীম স্টোরকে ১০০০ টাকা, নবী স্টোরকে ১০০০ টাকা, ইস্পা স্টোরকে ১০০০ টাকা, ইমাম স্টোরকে ১০০০ টাকা,লাকক্সারী স্টোরকে ১০০০ টাকা, জামান স্টোরকে ৫০০ টাকা, ফারিয়া স্টোরকে ৫০০ টাকা এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় না রাখায় অসীম ফার্মেসীকে ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
[৮] নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক সাংবাদিকদের জানান লকডাউন ঘোষণা করা হলেও লোকজন সরকারি আদেশ অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে যেমনঃ মাস্কবিহীন অযথা ঘুরাফেরা করে যার ফলে তাদের আইনের আওতায় আনা হয়।
[৯] তিনি আরো জানান, কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় চা স্টলসহ গ্রোসারী দোকান খুলে মানুষের ভীড় বাড়িয়ে বেচাকেনা করছে যার ফলে তাদেরকে অর্থদন্ড করা হয় এবং ভবিষ্যতে দোকান খুলবেন না মর্মে সতর্ক করা হয়।
[১০] অভিযানকালে দেখা যায় আসরের নামাযে একটি মসজিদে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি নামায আদায় করে ফলে মুয়াজ্জিন ও ইমাম সাহেবকে অনুরোধ করা হয় যাতে ইসলামী ফাউন্ডেশন এর নির্দেশ অনুযায়ী ৫ জনের জামাত করে নামাজ পড়া হয়। মাইকিং এর মাধ্যমে সবাইকে লকডাউনের বিধি- নিষেধ মেনে চলার জন্যে সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ