মো. আখাতরুজ্জামান : [২] বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে বিপর্যস্ত। এই কঠিন সময়ে আজকের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২০-২১ এ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৮.২ শতাংশ ও মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৫.৪ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময়ে এরূপ প্রোগ্রেসিভ ও উচ্চ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ঘোষিত বাজেট আশাব্যাঞ্জক।
[৩] বৃহস্পতিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ অভিমত ব্যক্ত করে সংগঠনটি।
[৪] জানানো হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা যা বিগত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৯.৮২ শতাংশ বেশি। এই অতিরিক্ত রাজস্ব আহরণের জন্য করের আওতায় বাড়ানো, অনাদায়ী কর আদায় ও মফস্বল শহরে রাজস্ব আদায় বাড়াতে রাজস্ব বোর্ডের মাঠ পর্যায়ে জনবল বাড়ানো প্রয়োজন। বেসরকারি বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত রাখতে বিদ্যমান কর দাতাদের উপর নতুন করে করবোঝা আরোপ না করে রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে।
[৫] ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লক্ষ ১১ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। অথচ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা। এডিপিতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগে। বর্তমান প্রেক্ষিতে করোনার প্রাদুর্ভাব বিবেচনায় স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ আরও বৃদ্ধি করা উচিত।
[৬] ঢাকা চেম্বারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সরকার এ অর্থবছরে ব্যক্তিশ্রেণির আয়করের ন্যূনতম সীমা ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। পাশাপাশি সরকার এবারের বাজেটে আমাদের প্রস্তাব অনুযায়ী সর্বনিম্ন করহার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে, যা সত্যি সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানো। সেই সঙ্গে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করার কারণে করদাতাদের উপর করবোঝা কিছুটা হলেও লাঘব হবে বলে আশা করি।