সিদ্দিক নাজমুল আলম : আহ! ফেরদৌস ভাই-অভ্যন্তরীণ কোন্দলের সর্বশেষ ছোবলটা আপনি খেলেন, হয়তোবা এতোদিন পরে এসে। আমি নিশ্চিত যে সিনিয়ররা আপনাকে নিয়ে মিথ্যা লিখেছে, তারা অন্যদের দ্বারা বায়াস্ট হয়ে লিখেছেন। আপনি তো ফেসবুকে তাদের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন এখন পাড়লে তারা প্রমাণ করুক আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্য। তবে কি একটা মানুষের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ার নিয়ে হুজুগে বিরুদ্ধে লেখাটা অনেক বড় অন্যায়। কারণ আজকে ১৭ কোটি মানুষের কাছে সে খন্দকার খুনি মোশতাকের ভাগিনা হিসেবে ঘৃণার পাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করলো। হয়তোবা কয়েক দিনের মধ্যেই ঘটনার তদন্ত হয়ে সত্য/মিথ্যা জিনিসটা বের হয়ে আসবে তখন কিন্তু এতো ভাইরাল হবে না কিংবা ফেরদৌস ভাই জনে জনে ব্যাখ্যাও দিতে পারবেন না।
ফেরদৌস ভাইকে আমি চিনতাম না, করোনাকালীন সময়েই তারে চিনেছি। তবে আজকে সারাদিন তার সময়কার ছাত্রলীগ করা যতো বড় ভাইদের ফোন করলাম সবাই বিষয়টা নিয়ে খুব আপসেট এবং কেউ কেউ অসহায়ের মতো বললেন, কেন কিছু লিখছো না? অবশ্য কারোর কথায় নয়, নিজের বিবেকের জায়গা থেকে লিখতেছি। মোশতাক নামে তার মামা আছেন, খবর সঠিক। তবে সেই মামা থাকেন বোস্টনে এবং তিনি একজন ফার্মাসিস্ট। আমি কিছুটা ধারণা করি, ফেরদৌস ভাইয়ের ছাত্রলীগের ব্যাকগ্রাউন্ড দেখে হয়তোবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ চেয়ারের জন্য সুপারিশকৃত হয়েছেন, যে চেয়ারের জন্য অনেকেই স্বপ্ন দেখেছেন দীর্ঘদিন।
যে সমস্ত প্রভাবশালীরা এমন নোংরামির খেলায় মেতে উঠেছেন, মনে রাখবেন ইতিহাস ক্ষমা করবে না আপনাদের। রাজনীতিতে আমাদের প্রার্থনার জায়গা বলেন, প্রাপ্তি প্রত্যাশার জায়গা বলেন, স্বপ্ন বাস্তবায়নের জায়গা বলেন, তা হচ্ছেন একমাত্র দেশরতœ শেখ হাসিনা। তাই আমার বিশ্বাস দেশরতœ শেখ হাসিনার নির্দেশেই তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটিত হবে। গুজবের বিরুদ্ধ লড়াই করতে করতে আমরা নিজেরাই গুজবে নিমজ্জিত হচ্ছি না তো? ফেরদৌস ভাই, মন খারাপ কইরেন না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :