শিরোনাম
◈ দুবাইয়ে বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি, আটকা ১৭৮ যাত্রী ◈ প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিউইয়র্ক পুলিশ প্রস্তুত ◈ আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির ◈ ১৬ দিনে এলো ২০৪১০ কোটি টাকার প্রবাসী আয় ◈ কিছু মহল এখনো নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে: প্রধান উপদেষ্টা ◈ নির্বাচন পিআর এর মাধ্যমে হবে না, সেটা তো হবে সংবিধান সংশোধনের পরে: নজরুল ইসলাম  খান  ◈ এদেশের প্রতিটি নাগরিকের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল : বিবৃতিতে তারেক রহমান ◈ ভোট দিতে পারবেন না শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যরা  ◈ নোয়াখালীতে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে বাসের ধাক্কা, চালক নিহত ও আহত ১২ ◈ আনুপাতিক ভোটপদ্ধতি ‘ফ্যাসিবাদের পথ সুগম করবে’: রিজভী

প্রকাশিত : ০৯ জুন, ২০২০, ০৭:২৮ সকাল
আপডেট : ০৯ জুন, ২০২০, ০৭:২৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম : একজন দর্পণ কবীর এবং ডা. ফেরদৌসকে নিয়ে অনভিপ্রেত বিতর্ক

মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম : ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে ‘দুঃখজনক’ বিতর্ক যিনি শুরু করেছেন, নিউইয়র্ক শহরে বসবাসকারী এক ‘মহাবিপ্লবী’ সাংবাদিক জনাব দর্পণ কবীরকে একটি প্রশ্ন করতে চাইÑ এই শহরে আপনি তো সুপরিচিত এক মুখ (অনুমান করি)। নাম-ধাম কামিয়েছেন দেদার। আরাম-আয়েশের জীবনও যাপন করছেন। তা, এই করোনা সংকট শুরুর পর থেকে প্রবাসী বাঙালি কমিউনিটির জন্য আপনি কিছু করেছেন কী? যদি কিছু না করে থাকেন, তাহলে উচিত ছিলো আপনার মুখ, হাত, আঙুল, চোখ এবং কম্পিউটার বা মোবাইল শতভাগ কোয়ারেন্টিনে বন্দি রাখা।

 

করোনা সংকট শুরুর পর থেকে একজন ডা. ফেরদৌস প্রতিদিন মানুষের কল্যাণে স্বতঃস্ফুর্তভাবে যেভাবে এগিয়ে এসেছেন এবং মানবিক সহায়তা করেছেন, তা আর কয়জন প্রবাসী করেছেন? আপনার দুটি চোখ তা দেখতে পায়নি? অবশ্য আপনার চোখ যদি হয় প্রাগৈতিহাসিক সেই এক-চোখা হস্তীর মতো তাহলে ভিন্ন কথা। আপনি সেই এক চোখ দিয়ে ডা. ফেরদৌসের ছাত্রজীবনের ‘আমলনামা’ ও ‘প্রোফাইল’ আবিষ্কার করে ফেললেন। আপনার যে এমন ‘আবিষ্কারক-প্রতিভা’ তা এতোদিন কোন্ লৌহ-বক্সে লুকিয়ে রেখেছিলেন? আপনি তো দেখছি ক্রিস্টোফার কলম্বাসকেও হার মানাতে উদ্যত।

 

হিটলারের তথ্য সচিব গোয়েবলসকেও হার-মানানো মিথ্যাচারের মাধ্যমে ক্ষতিটা আপনি কার করেছেন, জানেন? পুরো কমিউনিটির। তার চেয়েও বড় কথা, ভবিষ্যতে এরকম কোনো মানবিক সংকটে আর কেউ এগিয়ে আসবে না। শুধু তাই নয়, ডা. ফেরদৌসের ছাত্র জীবন সম্পর্কে খোঁজখবর না নিয়ে একটি মিথ্যা পোস্ট দিয়ে আপনি আমাদের প্রিয় ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু মানুষকেও কিছুটা হলেও ‘বিভ্রান্ত’ করে ফেলেছেন। জনাব দর্পণÑ এই পোস্ট ফেসবুকে সাবমিট করার আগে আপনার উচিত ছিলো ড্রইংরুমের দর্পণে নিজেকে একবার দেখা ও জিজ্ঞেস করা। অবশ্য আপনার দর্পণ যদি ঝাপসা হয়, ভিন্ন কথা। পরিষ্কার দেখতে না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। জনাব দর্পণ সাংবাদিকতার মৌলিক যে এথিকস তথা খোঁজখবর নেওয়া সেটিই আপনি বেমালুম বিস্মৃত হলেন। নিজে তো বিভ্রান্ত হলেনই, সাথে টেনে নিলেন আরো কজনকে এবং বাংলাদেশের ডিবিসহ কয়েকটি মিডিয়া’কে। টেলিভিশন চ্যানেল ডিবিসি ডা. ফেরদৌসকে নিয়ে যে নিউজটি করেছে তা সাংবাদিকতার মান-মর্যাদা ও এথিকসকে ভূলুন্ঠিত করেছে। কোনো সূত্র নেই, জাস্ট শোনা কথা ও ফেসবুক পোস্টের ভিত্তিতে ছেড়ে দিলো নিউজ...। রিডিকিউলাস।

 

আর আপনার কি টাইমিং, জনাব দর্পণ। যে মানুষটা নিজের গাঁটের অর্থে চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে এই কঠিন ও বিরূপ সময়ে ছুটে গেলেন বাংলাদেশে, দেশের মানুষকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য করতে, আপনি সেই সময়ে করলেন এমন ছিদ্রান্বেষণ? এবং চরিত্র হননের অপচেষ্টা? সেই সঙ্গে জুড়ে দিলেন কষ্টকল্পিত ‘রাজনৈতিক’ অভিলাষের এক দুর্গন্ধযুক্ত মিশ্রণ। সৃষ্টিকর্তা আপনাকে হেদায়েত করুন। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়