বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] কোভিড পরিস্থিতিতে সরকার এ পর্যন্ত ১৯টি প্রণোদণা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যা দেশের মোট জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। টাকার অংশে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা।
[৩] এই অর্থের কতটা ঋণ আর কতটা গরীব মানুষের জন্য রিলিফ তা নিয়ে মঙ্গলবার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগে(সিপিডি) বিশ্লেষণ করবেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের হিসাবে সরকারের প্যাকেজের বেশিরভাগটাই ঋণ যা বাংলাদেশ ব্যাংক দিয়েছে। রিলিফ প্যাকেজ সরকারের চেয়ে বেসরকারি খাতই এগিয়ে।
[৪] অর্থনীতিবিদ ড. খন্দকার মোয়াজ্জেম মনে করেন, কোভিড পরবর্তি প্রায় সব দেশই ব্যাংক নির্ভর ইকনোমিক প্যাকেজ দিয়েছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে গরীবের জন্য সরকারের নিজস্ব ব্যয় বৃদ্ধির কোন বিকল্পনেই। দেশে আয় বৈষম্য ও ভোগ বৈষম্য দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সময়ে সরকার যদি নিজস্ব আয় ব্যয় না করে তবে দারিদ্রতা চরম আকার ধারণ করবে।
[৫] অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে কোভিডে সরকার গরীবদের সাহায্য করেছে কাবিখা ও নানা ধরণের আগের ঘোষিত সামাজিক নিরাপত্তার সংখ্যা বৃদ্ধি করে। সেখানে মোট অর্থ বরাদ্দ ১১০ কোটি টাকা। শিশু খাদ্য ২৩ কোটি টাকা। আর নগদ সহয়য়তা এপর্যন্ত পেয়েছে ৯ লাখ মানুষ। আড়াই হজার টাকা করে তা ২২৫ কোটি টাকা। আর ২ লাখ টন চাল বিলি করা হয়েছে। যদিও নগদ সহায়তার জন্য সরকার ১ হাজার ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে।
[৬] এ ছাড়া গার্মেন্টের শ্রমিকদের জন্য সরকারি ঋণ ৫ হাজার কোটি টাকা। যা গার্মেন্ট মালিকদের ২ শতাংশ সুদে দেয়া হয়েছে ।
আপনার মতামত লিখুন :