শিরোনাম
◈ পিআর পদ্ধতি কী, কেন প্রয়োজন ও কোন দেশে এই পদ্ধতি চালু আছে?" ◈ ইসরায়েলি হামলায় ৪৩৭ ফুটবলারসহ ৭৮৫ ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদের মৃত্যু ◈ পশ্চিম তীরে দখলদার ইসরায়েলিদের সাথে তাদেরই সেনা জড়ালো সংঘর্ষে! (ভিডিও) ◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি

প্রকাশিত : ০৭ জুন, ২০২০, ০৭:৪৭ সকাল
আপডেট : ০৭ জুন, ২০২০, ০৭:৪৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা খোদা না : তারা শুধু সত্যের সন্ধান করে মাত্র

এএসএম ফখরুল ইসলামের ফেসবুক থেকে : বিজ্ঞান ধ্রুব সত্য না হলেও সে সত্যের এত কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে যে মাঝেমধ্যে অবাক হতেই হয়। ১০০ ভাগ ক্ষেত্রে না হলেও মোটামুটি ৯০ ভাগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান যেটা যেভাবে ঘটবে বলে কনক্লুড করে সেটা সেভাবেই ঘটে। এটা কোনো জাদু না। এটা প্যার্টার্ন।

স্রষ্টা বিশ্বব্রহ্মান্ডকে বিভিন্ন প্যাটার্নে চালান। বিজ্ঞান সেই প্যাটার্নগুলো সন্ধান করে শুধু। যেহেতু স্রষ্টার সাথে বিজ্ঞানীদের কথা হয় না সেহেতু বিজ্ঞানীরা শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারে না, স্রষ্টা যেভাবে প্যাটার্ন সাজিয়েছে বিজ্ঞানীরা ঠিক সেই প্যাটার্নটাই ধরতে পেরেছে কিনা, নাকি অন্য কোনো একটা প্যার্টান খুঁজে পেয়েছে যা মোটামুটি কাজ করছে, নাকি সঠিক প্যাটার্নেরই খুব কাছাকাছি পৌঁছুতে পেরেছে। এটা আমাদের পক্ষে কনক্লুসিভলি জানা কখনো সম্ভব হয় না। আমরা শুধু এতটুকু জানি, "Any sufficiently advanced technology is indistinguishable from magic."

নভেল করোনাভাইরাস নতুন একটি ভাইরাস। একে ট্র্যাক ডাউন করার জন্য যতটুকু সময় দরকার বিজ্ঞানীরা সে সময়টুকু পাচ্ছে না। এমনিতেই এ ধরণের ভ্যাক্সিন বাজারে আনা একটি সুদীর্ঘ প্রক্রিয়া, তার উপর এখানে রেইসটা অ্যাগেইন্সট টাইম। সব মিলিয়ে বিজ্ঞানীরা সময়ের সাথে পাল্লায় কুলিয়ে উঠছে না। কুলিয়ে যে উঠবে না এটাও বিজ্ঞানীরাই বলে দিয়েছে।

তাঁরা শুরুতেই বলে দিয়েছে, ন্যুনতম দেড় বছরের আগে ভ্যাক্সিনের আশা করে লাভ নাই। সুতরাং এই ভাইরাসকে বিজ্ঞান নয়, পলিসি দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। মনে হয় না, বিজ্ঞানীদের প্রেডিকশান ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

বিজ্ঞানীরা এটাও বলে দিয়েছে, আমদের যুদ্ধটা ভাইরাসের সাথে হবে না। হসপিটাল ক্যাপাসিটির সাথে হবে। এই ভাইরাস যত মানুষ মারবে তার চেয়ে বেশি মানুষ মারবে আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা।

একেবারে শুরু থেকেই আমরা এটা জেনেছি, আমাদেরকে ট্রান্সমিশানের কার্ভটা ফ্ল্যাট করতে হবে ও সেটাকে হসপিটাল ক্যাপাসিটির নিচে রাখতে হবে। কারণ বিজ্ঞানীরা জানে ও আমাদের জানিয়েছে, এই ভাইরাস যত মানুষ মারবে তার চেয়ে বেশি মানুষ মরবে আমাদের চিকিৎসাব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণে।

ঠিক ঠিক সেটাই হচ্ছে। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে যত মানুষ মারা পড়ছে তার চেয়ে বেশি মানুষ মারা পড়ছে ভেন্টিলেটরের অভাবে, ইন্টেনসিভ কেয়ারের অভাবে, যেগুলো ব্যবস্থা করা গেলে অনেক মানুষ বাঁচানো যেতো।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের সাথে সত্যিকারের লড়াইয়ে কত জন মানুষ মারা পড়ছে এটা আমরা জানতেই পারছি না। কারণ সেই লড়াইয়ের শেষ দেখার সুযোগই আমাদের মিলছে না। তার আগেই চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার কারণ মানুষ মারা পড়ছে।

বিজ্ঞানীরা খোদা না। তাঁরা সব প্রশ্নের উত্তর জানে না। তাঁর উত্তর সন্ধান করে শুধু। বিজ্ঞান, মডেল কোনোটাই ধ্রুব সত্য না। সে সত্যের সন্ধান করে শুধু।

প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রসেসটা কতটুকু রিলায়েবল। বিজ্ঞানের ফাইন্ডিংকে যদি আমরা অস্বীকার করতে চাই তাহলে সেই অস্বীকার করার আমার ভিত্তি কি? আমার কাছে কি বেটার ডেইটা আছে? বেটার বেইসিস আছে? কিসের ভিত্তিতে আমি সেটাকে অবিশ্বাস/প্রশ্ন করবো?

বিজ্ঞান কতটা রিগোরাসলি কাজ করে, তুলনামূলকভাবে "সাদাদের বিজ্ঞান", সেটা আমরা জানি। তার মানে সেটা ইনফেইলেবল না। কিন্তু দিস ইস দ্য বেস্ট প্রেডিকশান/এক্সপ্লেনেশান উই হ্যাভ। সেটাকে চ্যালেঞ্জ করতে হলে তার চেয়ে বেটার বেইসিস থাকতে হবে। সেটা কি?

বিজ্ঞান শতভাগ ক্ষেত্রে সঠিক হবে সেই দাবি বিজ্ঞানও করে না। কিন্তু এই সুযোগে বিজ্ঞানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা এক ধরণের অসততা বা মূর্খতা বললেও ভুল হবে না। এটা করা যাবে না। বিজ্ঞানকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করতে হবে। এজন্য না যে বিজ্ঞান নির্ভুল। বরং এজন্য যে এর চেয়ে বেটার, মোর রিলায়েবল টুল/বেইসিস আমাদের হাতে নাই।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়