রাশিদ রিয়াজ : [২] মানুষের যকৃতের মতই ক্ষুদ্র এ যকৃতটি ইঁদুরের শরীরে সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। আরটি
[৩] এটি মানুষের যকৃতের চেয়ে ক্ষুদ্র আকৃতির হলেও তা প্রতিস্থাপনযোগ্য করে তৈরি করা হয়েছে।
[৪] পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী মানুষের দেহকোষ থেকে এ যকৃতটি তৈরি করেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এটি তৈরি করা যায়। তবে মানুষের জন্যে উপযোগী একটি যকৃত তৈরি করতে দুই বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করছেন বিজ্ঞানীরা।
[৫] ইঁদুরের শরীরে ভাস্কুলার সিস্টেম ও বাইল ডাক্ট নেটওয়ার্কের সঙ্গে কৃত্রিম যকৃতটি প্রানিটির আসল যকৃতের মতই সম্পৃক্ত হয়ে একইভাবে কাজ করতে পারে কি না তা দেখছেন বিজ্ঞানীরা।
[৬] ৫টি ইুঁদুরের শরীরে এধরনের কৃত্রিম যকৃত প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তবে ইঁদুরগুলোর শরীরের কিছুটা জটিলতাও দেখা দিয়েছে। ফলে বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন।
[৭] আগামী এক দশকের মধ্যে এধরনের কৃত্রিম যকৃত প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে মনে করেন প্যাথলজিস্ট আলেজান্দ্রো সোতো-গুতেরেজ। তিনি বলেন মানব কোষ থেকে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরির এক বিরাট সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছে।
[৯] বছরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই যকৃত অকেজো হয়ে পড়ায় ৪০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং ১৪ হাজার মানুষ যকৃত প্রতিস্থাপনের অপেক্ষায় রয়েছে দেশটিতে। যকৃত প্রতিস্থাপন বেশ ব্যয়বহুল। ২০১৭ সালের হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে এজন্যে ব্যয় করতে হত ৮ লাখ ১২ হাজার ৫শ ডলার।
আপনার মতামত লিখুন :