রাশিদ রিয়াজ : [২] সাত দিনের গড় তুলনায় এখন দিনে লক্ষাধিক ব্যক্তি বিশ্বে কোভিডে আক্রান্ত হচ্ছেন। এপ্রিলে বিশ্বে কোনো দিনই লক্ষাধিক ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়নি। গত ২১ মে থেকেও কোভিডের বিস্তার ৫ দিনে এক লাখ ছাড়ায়নি। অথচ গত তেসরা জুন বিশ্বে ১ লাখ ৩০ হাজার ৪’শ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে। এ তথ্য দিয়েছে জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়। সিএনএন
[৩] ধারণা করা হচ্ছে কোভিড টেস্টিং আগের চেয়ে বেড়েছে বলে শনাক্তও বেড়েছে। কিন্তু এখনো অনেক দেশ আছে কিটের অভাবে ঠিকমত টেস্ট করা যাচ্ছে না এবং এসব দেশে কোভিডের আসল চিত্র কি তা আড়ালেই রয়ে গেছে।
[৪] এক এক দেশে কোভিডের বিস্তার ভিন্নভাবে ঘটছে। চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সে ভীষণভাবে বিস্তারের পর তা অনেকটা স্তিমিত হয়ে এসেছে। কিন্তু এখনো অনেক দেশ বিশেষত দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোতে কোভিডের বিস্তার বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৫] লিবিয়া, ইরাক, উগাণ্ডা, মোজাম্বিক, হাইতিতে প্রতিসপ্তাহে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হচ্ছে। ব্রাজিল, ভারত, চিলি, কলোম্বিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের বিস্তার দ্বিগুণ হচ্ছে দুই সপ্তাহে।
[৬] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস এ্যাডহানোম গ্রেব্রিসাস বলেছেন কয়েক সপ্তাহ জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রে কোভিডের বিস্তার এত বিপুলভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যা অন্য সবদেশের চেয়ে বেশি। সেন্ট্রাল ও সাউথ আমেরিকা নিয়ে সংস্থা এখনো চিন্তিত। সংস্থার নির্বাহি পরিচালক ড. মাইক রিয়ান মনে করেন এখনো যুক্তরাষ্ট্রে ওই দুটি অঞ্চলে কোভিডের বিস্তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেনি। ক্যারিবিয়ান ও সাউথ আমেরিকায় কোভিডে মৃত্যু হার বাড়তির দিকে।
[৭] বৃহস্পতিবার ব্রাজিলে ৩০ হাজার ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত হয়। একই দিন মারা যায় ১৪শ ৭৩ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ১৫ হাজার , এপর্যন্ত মারা গেছে ৩৪ হাজার।
[৮] এরপরেই যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে, মারা গেছে ১ লাখ ৮ হাজার ২১১ জন। দিনে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে কোভিডে যা সর্বশেষ শুক্রবারে ২১ হাজারে নেমেছে এবং ৭ দিনে গড় মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৯৪২ জনে।
[৯] লকডাউন শিথিল করায় দ্বিতীয়বার কোভিডের বিস্তার দেখেছে দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি, চীন ও ইরান। ২১৪টি দেশের ৬৬ লাখ মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর মোট মারা গেছে ৩ লাখ ৯১ হাজার। মৃতের সংখ্যা আরো বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে কারণ প্রায়শঃ হালকাভাবে কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের বাইরে রয়ে যায়।