শিমুল মাহমুদ: [৪] চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রিয় প্রধানমন্ত্রী, ২০১৮ সালের ১৯ নভেম্বর সংকটে সাংবাদিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করা একটি সংগঠনকে তহবিল প্রদানের সময় আপনি বলেছিলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে। আপনি আরও বলেছিলেন, কেউ বলতে পারবে না আমরা কখনও কারও কণ্ঠরোধ করেছি; আমরা কখনও তা করিনি এবং কখনও তা করবো না।

[৫] তবু এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, আপনার দাবির সঙ্গে তথ্য সাংঘর্ষিক। আপনার ওই বক্তব্যের পর আরএসএফ কর্তৃক প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ফ্রিডম ইনডেক্সে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ অবনতি হয়েছে। ২০২০ সালের সূচকে ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১তম। আর গত কয়েক সপ্তাহে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের ঘটনায় আমরা আশঙ্কা করছি, আগামী বছরে বাংলাদেশের আরও অবনতি হতে পারে।

[৬] শুধু মে মাসেই ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অন্তত ১৬ সাংবাদিক ও ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই আইনে গ্রেফতার হওয়া বেশিরভাগ সাংবাদিক শুধু এমন তথ্য প্রকাশ করেছেন, যা স্থানীয় রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে গেছে। সরকারি-বেসরকারি ছুটি শুরুর পর অন্তত ১৩ সাংবাদিক পরিকল্পিত সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

[৭] সাংবাদিকদের সুরক্ষার জন্য তিন দফা আহ্বান

(১) সাংবাদিকদের ওপর শারীরিক হামলা চালানো ব্যক্তিরা যেন বিচারহীন না থাকে সেজন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষ থেকে তদন্তের নির্দেশ এবং প্রয়োজনে হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের গ্রেফতার ও বিচার করা। (২) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে সাংবাদিক, ব্লগার ও কার্টুনিস্টদের অবমাননাকর শাস্তির ধারা বাতিল করা। (৩) সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার আইন সংস্কার করা, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার এবং সাংবাদিকদের সুরক্ষায় একটি খসড়া আইন প্রণয়ন। এসব লক্ষ্য অর্জনে সরকারের সঙ্গে সংলাপ শুরুর জন্য সংগঠনগুলো প্রস্তুত আছে বলে চিঠিতে জানানো হয়।

(২) সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় কাজ করা বাংলাদেশি ও আন্তর্জাতিক পাঁচটি সংগঠন হলো -রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)- ফোরাম ফর ফ্রিডম এক্সপ্রেশন (মুক্ত প্রকাশ), আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), কার্টুনিস্ট রাইটস নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল (সিআরএনআই) এবং কার্টুনিস্ট ফর পিস (সিএফপি)। বাংলাট্রিবিউন