আনিস তপন : [২] করোনার ঝুঁকি বিবেচনায় রেড, ইয়োলো ও গ্রিন জোন চিহ্নিতের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপাতত ঢাকা, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরকে রেড জোন মনে করা হচ্ছে। তবে একটি এলাকার সব অংশ রেড জোন নয়। সংক্রমনের হার বিবেচনায় চিহ্নিত এলাকাকে আবার ছোট ছোট অংশে ভাগ করা হবে। এই প্রক্রিয়া কাল/পরশুর মধ্যে বাস্তবায়ন শুরু হবে।
[৩] বুধবার (৩ জুন) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানান।
[৪] নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, ২৫ শতাংশের বেশি কর্মকর্তাদের অফিসে আসার দরকার নেই। বাকিরা বাসায় থেকে কাজ করবেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী যারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা বা রেড জোনে বসবাস করেন তাদেরও আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তাছাড়া সংক্রমন ঝুকি এড়াতে লিফট ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
[৫] লিফটম্যান, এমএলএসএসসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা অনেকেই অসচেতন, তাই তাদের উপস্থিতি কম করা হয়েছে। তাছাড়া বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তানসম্ভবা নারীদের অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। কম মুভমেন্ট যাতে হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা। কারণ যত বেশি মুভমেন্ট তত বেশি সংক্রমনের আশংকা বলে জানান তিনি।
[৬] এদিকে স্বাস্থ্যবিধিসহ বিভিন্ন নির্দেশনা মানার বাধ্যবাধকতা দিয়ে গত ৩১ মে থেকে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত সীমিত পর্যায়ে সরকারি অফিসে কর্মকাণ্ড শুরু ও সড়কে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার।
[৭] এতে রাস্তায় জনসমাগম বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের চলাচল বেড়েছে। ফলে কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে।
[৮] এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ফরহাদ হোসেন জানান, এত নির্দেশনাসহ সচেতনতা বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেয়ার পরও যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, সংক্রমনের ব্যাপক অবনতি হচ্ছে তাহলে তো বিকল্প কিছু থাকবে না।