মাজহারুল ইসলাম : [২] গণপরিবহণ চালু হলেও অ্যাপসভিত্তিক রাইড শেয়ারিং পরিষেবা বন্ধই থাকছে। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) লোকমান হোসেন মোল্লা বলেন, গতকাল ১২টি রাইড শেয়ারিং কোম্পানিকে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রম স্থগিত রাখতে বলেছে বিআরটিএ।
[৩] অথচ আগে থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়কের মোড়ে সক্রিয় রয়েছে উবার, পাঠাও, ওভাই, সহজসহ রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠানগুলোর চালকরা। অ্যাপ না থাকলেও চুক্তিভিত্তিক চলছে মোটরসাইকেল ও গাড়ি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই এমন চিত্র দেখা গেছে।
[৪] বিআরটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, রাইড শেয়ারিংয়ের বেশিরভাগ হলো মোটরসাইকেল। এ ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা চালক ও যাত্রী উভয়ের পক্ষেই সমস্যা। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
[৫] রাইড শেয়ারিং কোম্পানি ‘সহজ’ এর প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মালিহা এম কাদির মনে করেন, সরকারের উচিত তাদেরকে কার্যক্রম চালুর অনুমতি দেয়া। কারণ বাস ও অন্যান্য গণপরিবহের তুলনায় রাইড শেয়ারিং নিরাপদ।
[৬] পাঠাও’ এর পরিচালক (মার্কেটিং এবং জনসংযোগ) সৈয়দা নাবিলা মাহাবুব বলেন, রাইড শেয়ারিং বন্ধ রেখে কার্যত যাত্রীদের অফলাইনে দর কষাকষি করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচলে বাধ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে গণপরিবহনও তুলনামূলকভাবে অনিরাপদ। কারণ সেখানে সামাজিক দূরত্ব যথাযথভাবে মানা যায় না।
[৭] চুক্তিভিক্তিক ট্রিপে যুক্তদের নিয়ে ‘ড্রাইভার সাপোর্ট বিডি’ নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ আছে। এতে আগে উবারের ‘শোষণ’নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন পোস্ট থাকলেও এখন গাড়ি ভাড়া বিষয়ে বিজ্ঞাপনি পোস্ট দেয়া হচ্ছে।
[৮] উবার ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সেলিম বলেন, খুব কষ্টে আছি। রাস্তায় যাত্রী অনেক কম। ভাড়াও কম। অনলাইনে সেবা বন্ধ থাকায় পেটের দায়ে এছাড়া কোনও পথ নেই। আলোকিতবাংলাদেশ, বাংলা ট্রিবিউন