লিহান লিমা : [২] ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কূটনীতিক মিশনের সদস্য হলেও পকিস্তান দূতাবাসের ওই দুই কর্মী যে ধরনের কাজের সঙ্গে জড়িত তা তাঁদের পদমর্যাদের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এই কারণে তাঁদেরকে অবাঞ্ছিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের দেশ ছাড়তে বলা হয়েছে।’ ডন, এনডিটিভি
[৩]ভারতের সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান হাইকমিশনের ভিসা বিভাগে কাজ করা আবিদ হুসেন ও মুহম্মদ তাহির নামের এই দুই ব্যক্তি টাকা দিয়ে এক ভারতীয় নাগরিকের কাছ থেকে ভারতের নিরাপত্তা সংস্থা, প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, তথ্য সংগ্রহ করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। সূত্রটি বলেছে, অভিযুক্তরা ভারতীয় নাগরিক বলে প্রথমে দাবি করেছিল, এমনকি তারা নাগরিকত্বের স্বপক্ষে জাল আধার কার্ডও দেখায়।
[৪]এই ঘটনার প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘৩১ মে মিথ্যা ও অপ্রমাণযোগ্য অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনারের কর্মকর্তাকে ধরা হয়েছে। কমিশনের হস্তক্ষেপে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কূটনীতিকদের উপর এ ধরনের অত্যাচার, হুমকি ও চাপের প্রবল বিরোধিতা করা হচ্ছে।’ ভারতের পদক্ষেপে ভিয়েনা কনভেশন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পাকিস্তান।
[৫]দিল্লি পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের সময় পাক হাইকমিশনের অভিযুক্ত কর্মীরা স্বীকার করেছে, জম্মু-কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার অবস্থান নিয়ে নথি সংগ্রহ করছিলো তারা।
[৬]এর আগে গত বছর অগাস্টে ভারত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ৩৭০ ধারা বিলোপের পর পাকিস্তান-ভারত সম্পর্কের আরো অবনতি হয়। দুই দেশই তাদের হাই কমিশনারদেরকে ডেকে নেয়। বর্তমানে দুপক্ষের ডেপুটি হাই কমিশনারই চিফ অফ মিশন হিসাবে কাজ করছেন। এর আগে ২০১৬ সালে ভারত ও পাকিস্তন, দুই দেশই একে অপরের হাইকমিশনে নিযুক্ত কর্মীদের দেশ ছাড়তে নির্দেশ দিয়েছিল।
আপনার মতামত লিখুন :