আরিফুল ইসলাম, সরাইল : [২] বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নেয়া মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণে ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন চষে বেড়াচ্ছেন করোনাযুদ্ধের অদম্য এক যোদ্ধা ইউএনও আবু সালেহ মো. মোসা।
[৩] কাজের ধারাবাহিকতায় আজ রোববার (৩১ মে) নানা পেশার মানুষদের নিয়ে করোনা রোধে পরবর্তী করণীয় বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করতেই এক জরুরি সভা করেন তিনি। পাশাপাশি করেন উপজেলা আইনশৃংখলা সভাও।
[৪] সরকার মানুষের জীবন বাঁচাতে জীবিকার তাগিদে লকডাউন কিছুটা শিথিল করেছে ৩১ মে থেকে। কিন্তু হঠাৎ করে সরাইল উপজেলায় করোনা শনাক্ত বেড়ে যাওয়ায় জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এই উপজেলায়। এদেরমধ্যে একজন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরা আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। উপজেলার মানুষকে সুস্থ রাখতে নানা ইতিবাচক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ।
[৫] জানা যায়, ৮ মার্চ বাংলাদেশে শুরু হওয়া কভিড-১৯ ভাইরাসের সরাইল উপজেলায় অবিরাম ছুটে চলেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মো. মোসা। করোনার শুরুতেই লকডাউনে প্রবাসীসহ সাধারণ জনগণকে ঘরে রাখা, ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা, কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন অমান্যকারীদের ঘরে ফেরানোর কাজ করেন। দেশের এমন পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থেকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন তিনি।
[৬] নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত কিংবা অসহায় মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধিসহ এসব মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার কাজ করছেন ইউএনও। ত্রাণ নিয়ে ছুটে চলেছেন মানুষের চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন জায়গাতে।
[৭] ইউএনও আবু সালেহ মো. মোসা জানান, এটা একটি যুদ্ধ। আত্মপ্রত্যয় আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে সকলকে এ যুদ্ধের মোকাবেলা করতে হবে। সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। নিজে বাঁচতে হবে এবং পরিবার পরিজনকে করোনা থেকে বাঁচাতে হবে। এ যুদ্ধে করোনার পরাজয় হবে। বেঁচে থাকবে মানবতা।সম্পাদনা : জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :