ইয়াসিন আরাফাত : [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘিরে চীনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে, তাতে এবার নয়া মাত্রা যোগ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।মার্কিন প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চীনা শিক্ষার্থীদের একাংশ যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে না পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে চীনও মার্কিন শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। টাইমস অফ ইন্ডিয়া , এই সময়, নিউ ইয়র্ক টাইমস
[৩] শুক্রবার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করছেন, পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন চীনা শিক্ষার্থী ও গবেষকদের আমেরিকা প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। হংকংয়ের বিশেষ সুবিধা বাতিলের প্রক্রিয়া যে ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে, সে কথাও জানান তিনি। করোনা প্রশ্নে বেজিংয়ের পাশে দাঁড়ানোয় 'হু'র সঙ্গেও সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি।
[৪] সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য ট্রাম্প বলেন, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক যা দাঁড়াল তাতে খুব, খুবই দুঃখিত আমরা। কিন্তু ওদের এটা শুরুতেই থামানো উচিত ছিল।
[৫] প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, তিনি বেজিংকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা রাজি হয়নি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চীন থেকেই ভাইরাসটি ছড়াতে শুরু করেছিল। তার পর যখন তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে গেল, তখন তারা কোনও মতে নিজেদের সংক্রমণ রোধ করলেও বাইরের দেশগুলোতে তা রোধ করেনি।
[৬] বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের জেরে শুধু আমেরিকাতেই লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ গিয়েছে। এ দিকে, চলতি বছরের শেষে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। অনেকেই মনে করছেন, সে কারণে নিজের গাফিলতি ঢাকতে চীনের উপর দায় চাপাতে চাইছেন ট্রাম্প। একই কারণে রোষানলে পড়েছে 'হু'-ও।
[৭] অবশ্য ট্রাম্পের যুক্তি, চীন বছরে ৪ কোটি ডলার অনুদান দেয় হু-কে। আমেরিকার ক্ষেত্রে সেই অর্থের পরিমাণ ৪৫ কোটি ডলার। তা-ও 'হু' পুরোপুরি চীনের নিয়ন্ত্রণে।' তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে সম্পর্কে ইতি টেনে সেই অনুদান অন্য কোনও সংস্থাকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি হংকংয়ের বিশেষ সুবিধা বাতিল হচ্ছে। সেখান থেকে আমেরিকা সফরের উপরও নতুন নির্দেশিকা জারি হতে চলেছে।