ইয়াসিন আরাফাত : [২] অবশেষে গত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে আটক সেই পায়রাকে মুক্ত করে দিয়েছে ভারতের আইন শৃংক্ষলা বাহিনী। জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্তের যে অংশ থেকে সেই পায়রাকে আটক করা হয়েছিল, সেই এলাকায় ছেড়ে আসা হয়েছে তাকে।
[৪] গত সপ্তাহের রোববার ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলা থেকে পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে ওই পায়রাকে আটক করে ভারতীয় সেনাবাহিনী।এসময় তার পায়ে ট্যাগ আর শরীরে গোলাপি রং লাগানো ছিল। তা দেখেই সন্দেহ হয় সেনাবাহিনীর। ফলে উড়ে এসে জুড়ে বসা সেই পায়রার ওপর নজরদারি চালাতে তাকে হেফাজতে নেয় তারা। যদিও সীমান্তের ওপারের এক গ্রামবাসী সেই পায়রাকে তার পোষ্য বলে দাবি করেছিলেন।
[৫] সংবাদ মাধ্যমকে সেই পায়রার মালিক হাবিবুল্লাহ বলেন, "ও একটা নিষ্পাপ প্রাণী। তাই ভারতীয় বাহিনীকে বলেছি ওকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে।" যদিও সেই পায়রা মুক্তি পাওয়ার পর হাবিবুল্লাহর কাছে ফিরেছে কিনা তা জানা যায়নি।
[৬] এদিকে, সেই পায়রার পায়ে একটা সন্দেহজনক নম্বরের খোঁজ পেয়েছিলো ভারতীয় আইন শৃংক্ষলা বাহিনী। সন্দেহ ছিল জঙ্গিদের কোনও কোড বহন করেছে সেই নম্বর। কিন্তু সেই অভিযোগ খারিজ করে হবিবুল্লাহ দাবি করেছেন, "সেটা আমার মোবাইল নম্বর। পাখি উড়ান প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল পায়রাটি। সেখান থেকে দিশা হারিয়ে ভারতে চলে যায় সে।"
[৭] জানা গিয়েছিল, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছাকাছি বসবাসকারী গীতা দেবী নামের এক মহিলার বাড়ির ছাদে এসে বসেছিল সেই পায়রাটি।এ সময় তার পায়ে সেই তাগা আর ট্যাগ দেখে সন্দেহ হওয়াতে খবর দেয়া হয়েছিল বিএসএফ-কে। তারাই গীতা দেবীর বাড়ি থেকে সেই পায়রা উদ্ধার করে হিরানগর থানার হাতে তুলে দিয়েছিলেন।