কামরুল হাসান মামুন : একদিনে ২৫০০ সনাক্ত। টের পাচ্ছেন কি ভয়াবহ দিন আসছে? সরকার কোন ভাবনা থেকে সব কিছু খুলে দিচ্ছে আমার মাথায় ঢুকছে না। অনেকদিন ধরে বলতেছিলাম যে যত বেশি পরীক্ষা করবেন তত বেশি সনাক্ত হবে। মার্চের মাঝামাঝি যদি ১০ হাজার করে টেস্ট করিয়ে সনাক্তদের আলাদা করে রাখতে পারতাম তাহলে তখনও লক ডাউনের প্রয়োজন হতো না এবং আজকের অবস্থায় আসতামই না। আর আজকে যদি ৫০ থেকে ৮০ হাজার টেস্ট কিংবা ১ লক্ষ টেস্ট প্রতিদিন করাতে পড়তাম তাহলেও লকডাউনের প্রয়োজন নেই। কিন্তু আমরাতো কোন মডেলই ফলো করছি না। যৎসামান্য টেস্ট করিয়ে যদি সব কিছু খুলে দেই দেশের ডিজাস্টার আসবে যেটা আমরা হ্যান্ডেল করতে পারব না। যেই অর্থনীতি বাঁচানোর জন্য সব কিছু খুলে দিলাম সেই অর্থিনীতি এবং সাথে জীবনের মৃত্যু ঘটবে।
আমি যখন ১৩ই মার্চে বলেছিলাম ইতালি ফেরতদের কোয়ারান্টিনে নেন। তখন তাদের চার কিংবা পাঁচ তারকা হোটেলে কোয়ারান্টিনে নিতে কত খরচ হতো? আমার কথা শুনেননি। সামান্য টাকা বাঁচাতে গিয়ে আজ আমরা জীবন এবং জীবিকা দুটোরই বিপর্যয় ডেকে নিয়ে আসছি। এখন আমাদের একটি ভালো পথই খোলা আছে। সেটা হলো লক্ষ লক্ষ টেস্ট করে সনাক্তদের আইসোলেট করে বাকিদের স্বাভাবিক জীবনে থাকতে দিন।
আমাদের কিছু মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবী আছে যারা আগে দেখে সরকার কি করতে চাচ্ছে। এইটা বোঝা হয়ে গেলে সরকারের আগে সরকারের ইচ্ছাকে জনপ্রিয় করতে লুঙ্গি কাঁচা দিয়ে লেগে পরে। গায়ে লুঙ্গি আছে কিনা সেদিকেও নজর থাকে না। এরা এত দলদাস হয় কিভাবে? আমার কাছে এদের দেশদ্রোহী মনে হয়।
যা হচ্ছে তা দেখে মনে হচ্ছে আমরা এখন ডারউইন তত্বের উপর সব ছেড়ে দিয়েছি। আমাদের সবাইকে এখন গ্ল্যাডিয়েটর হতে হবে। ফেসবুক থেকে