মাজহারুল ইসলাম : [২] মিনেসোটায় পুলিশের হাতে হাতকড়া পরা এর অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে করা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের টুইটটি যাতে আর দেখা না যায়, এবার সেই ব্যবস্থা করল টুইটার। এর ফলে, মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে টুইটারের সঙ্ঘাত ভিন্ন মাত্রা পেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[৩] সঙ্গে জাল ব্যাঙ্কনোট রয়েছে এই সন্দেহে ধৃত এক ব্যক্তির মিনেসোটায় পুলিশের হেফাজতে মৃত্যু হয়। তারপর মিনেসোটায় গতকাল তুমুল বিক্ষোভ হয়। ঘটে অগ্নিসংযোগের ঘটনা। এর প্রেক্ষিতে টুইটে ট্রাম্প মিনিয়াপোলিসের রাডিকাল লেফট মেয়র জ্যাকব ফ্রে’কে অভিযুক্ত করেন। টুইটে লেখেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় আমেরিকায় মিনিয়াপোলিসের মতো বড় একটি শহরে এমন ঘটনা আমি সমর্থন করতে পারি না। হয় মেয়র জ্যাকব ফ্রে নিজে পরিস্থিতি সামলান, না হলে আমি জাতীয় নিরাপত্তারক্ষী পাঠিয়ে ব্য়বস্থা নেব।
[৪] টুইটার কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওই টুইট সহিংসতাকে ‘মহিমান্বিত’ করেছে; যা তাদের নীতির বিরুদ্ধ। মার্কিন আইনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর যে আইনি সুরক্ষা রয়েছে তা প্রত্যাহারে ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশ জারির কয়েকঘণ্টা পর তার টুইটটি হাইড করা হয়।
[৫] সম্প্রতি ‘মেইল-ইন ভোট’সিস্টেম নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একটি টুইট করেন। কিন্তু তার টুইটটি ছিল বিভ্রান্তিকর। তাই প্রথমবারের মতো ট্রাম্পের কোনো টুইটে ‘ফ্যাক্ট চেক’বা সত্যতা যাচাইয়ের লেবেল সেঁটে দেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। আর তার প্রেক্ষিতেই ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশ জারি করেন।
[৬] বৃহস্পতিবার ইমেলের মাধ্যমে ব্যালট নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ট্রাম্পের ২ টি টুইটের সঙ্গে একটি বিশেষ বার্তা জুড়ে দেয়া হয়। সঙ্গে এমন কয়েকটি লিঙ্ক দেয়া হয়, যাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ভিন্ন মতামতও জানতে পারেন আমজনতা।
[৭] টুইটারের ওই পদক্ষেপের সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সংস্থায় তালা ঝোলানোর হুমকি দেন। তার প্রেক্ষিতে টুইটারের সিইও জ্যাক ডোরসি জানান, তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের নির্বাচন সম্পর্কে কোনও টুইটে ভুল বা বিতর্কিত কোনও তথ্য থাকলে তাঁরা ভবিষ্যতেও একই ব্যবস্থা নেবেন। আনন্দবাজার, অধিকার, আওয়াজবিডি
আপনার মতামত লিখুন :