মুসবা তিন্নি : [২] এর বৈজ্ঞানিক নাম Cebuella pygmaea. ধূসর-হলুদাভ রঙের এই বানরের ওজন মাত্র ১০০ গ্রাম। মাথা ও দেহের দৈর্ঘ্য ৪.৫ থেকে ৬ ইঞ্চি পর্যন্ত। তবে লেজের দৈর্ঘ্য ৬.৫ থেকে ৯ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
[৩] পিগমি মারমোসেট এমন ছোট আকারের কারণেই পৃথিবীখ্যাত। উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে বিশেষ করে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, পেরু, বলিভিয়া ও ব্রাজিলের চিরসবুজ বনে এবং জলমগ্ন গাছে পিগমি মারমোসেটের দেখা মেলে। এরা দিনে চলাচল করে এবং অধিকাংশ সময় গাছে গাছেই কাটিয়ে দেয়।
[৪] একটি পরিনত মারমোসেট ১২ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। অনায়াসেই আপানার হাতের তালুতে জায়গা করে নিতে পারবে। মারমোসেটদের প্রিয় খাদ্য গাছের আঠা হলেও ফলমূল, কীটপতঙ্গও খেয়ে থাকে এরা। ১৩৪ দিন গর্ভধারণ করে এরা ১-৩ টি পর্যন্ত বাচ্চা জন্ম দেয়। আর দের একেকটি দলে ৫-৯ টি পর্যন্ত মারমোসেট থাকে। একটি পরিনত মারমোসেট ১২ বছর জীবদ্দশায় ১০০ গ্রামের বেশি হয়না। আর এই মারমোসেটদের দেখা পেতে আপনাকে যেতে হবে সুদূর আমাজনে।
[৫] এরা জিহ্বা দিয়ে চেটে চেটে গাছের ওপর জমানো আঠা খায়। তবে কীটপতঙ্গ, ছোট টিকটিকি ও ফলমূলও খাবার তালিকা থেকে বাদ যায় না। এরা যে গাছে খাবার খায় সে গাছে কিংবা পার্শ্ববর্তী কোনো গাছের গর্তে ঘুমায়। সামাজিক প্রাণী হিসেবে ৫ থেকে ৯ সদস্যের দলে বাস করে। দলের নেতৃত্ব দিয়ে থাকে বয়স্ক কোনো পিগমি মারমোসেট। সূত্র : উইকিপিডিয়া, দ্যা স্কাল