সুজিৎ নন্দী : [২] সরকারের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছি। স্বাস্থ্য বিধি মেনে কিভাবে করোনাভাইরাসের সময়ে ব্যবসা চলবে তার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিলেই আমরা ব্যবসা চালু করব। শুধু রমজান ও ঈদ মৌসুমে দেশের হোটেল ট্যুরিজম খাত ৫শ’ কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছে।
[৩] ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) বলছে, অ্যাভিয়েশন খাত ছাড়া শুধু হোটেল-রিসোর্টসহ পর্যটনের বিভিন্ন ব্যবসায় এ বছর এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। রিসোর্ট ও হোটেল ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের ক্ষতি এর চেয়েও বেশি হয়েছে।
[৪] প্রতি বছর ঈদের পরদিন থেকে পর্যটকে ভরপুর হয়ে উঠে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার। চলে পুরোদমে ব্যবসা। কিন্তু এবার বিশ্ব মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সেটি আর হয়ে উঠেনি।
[৫] কক্সবাজারের হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায়িরা জানান, প্রায় আড়াই মাস ধরে লকডাউনের কবলে পড়েছে পর্যটন শিল্প। এতে বেকার হয়েছে অন্তত ৩৫ হাজারের বেশী শ্রমিক। চরম লোকসানে পড়েছে হোটেল-রিসোর্ট ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ক্ষুদ্র ব্যবসায়িরা।
[৬] একাধিক হোটেল ব্যবসায়ির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে জানান, এমন পরিস্থিতিতে এ শিল্পকে ধরে রাখতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে হোটেল মালিকরা। ব্যবসা চালু হলে পর্যটকের সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আচরণ করা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গাইড লাইন অনুসারে রিসোর্ট ও হোটেল পরিচালনা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হবে। তারা আরো বলেন, করোনাকালে সব ধরনের গাইড লাইন মেনে সরকারের নির্দেশে সীমিত পরিসরে হলেও ব্যবসা খুলতে চান রিসোর্ট ও হোটেল মালিকরা।
[৭] বর্তমানে তালাবদ্ধ প্রায় পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল রিসোর্ট। জনমানব শূন্য হয়ে পড়েছে মেরিনড্রাইভ সড়কটিও। কলাতলী-মেরিনড্রাইভ হোটেল মালিক সমিতির নেতা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা ও করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানোর সকল প্রস্তুতি নিয়ে সীমিত পরিসরে হলেও হোটেল-মোটেল রিসোর্ট চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া হোক। অন্যথায় বড় ধরণের বিপর্যয়ে পড়বে এ শিল্প। যা কাটিয়ে উঠা খুবই কঠিন হবে।