আক্তারুজ্জামান : [২] বিমান ভ্রমণকারীদের কাছে অতি পরিচিত মানুষ বিমানবালা বা এয়ারহোস্টেস। যারা বিমানে থাকা যাত্রীদের সেবায় নিয়োজিত থাকেন। আকর্ষণীয় চেহারা আর লাস্যময়ী পোশাকে তারা বেশ আবেদনময়ী হয়ে থাকেন। তবে দেশভেদে তাদের পোশাকেরও ভিন্নতা থাকে। কিন্তু মরণঘাতি করোনা সবকিছুই যে এক করে দিয়েছে।
[৩] বিমানের যাত্রীদের নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি নিজেদেরও এখন নিরাপদে থাকা অন্যতম দায়িত্ব হয়ে পড়েছে বিমানবালাদের। যদিও খুব বড় পরিসরে বিমান চালু হয়নি। তবে সীমিত পরিসরে যেগুলো চালু হয়েছে সেখানেও দেখা মিলছে না পরিচিত সেই লাস্যময়ী তরুণীদের।
[৪] তার জায়গায় একেবারে আগাগোড়া ঢেকে রাখা সেবাদানকারীদের দেখা মিললো। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা সবাই পিপিই পরেছিলো। নিজেদের সবটুকুই ঢেকে রেখেছিলো।
[৫[ গত দুদিন ধরে ফেসবুকে এই নিয়ে একটা লেখাও বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেখানে একজন লিখেছেন. আমি যতবারই বিমানে ট্রাভেল করেছি, ততবারই বিমান বালাদের কারণে বিব্রত হয়েছি। এক গ্লাস পানির প্রয়োজন, সেটাও চাইতে ভয় হতো। তাদের পোশাক এবং কথাবার্তা দুটোই বিব্রতকর। ছবিটা দেখে অন্যরকম একটা অনূভুতি সৃষ্টি হলো!
[৬] এরাই তো কিছুদিন পূর্বে ছোট ছোট পোশাক গায়ে জড়িয়ে ঠোঁটের কোণে হাসি জমিয়ে মিষ্টি করে কথা বলে সবাইকে নিজেদের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করতো। অদ্ভুত!
[৭] কিন্তু আজ তারা নিজেদেরকে পুরোপুরি প্লাস্টিকে মুড়িয়ে নিয়েছে। কী অদ্ভুত তাইনা? আরেকটু গভীরে গিয়ে চিন্তা করতে হবে।
[৮] নির্দ্বিধায় তারা সৌন্দর্যকে কিয়ে নিজেদেরকে আজ একরকম বস্তায় ভরে রেখেছে। কারণ কী? কারণ, মৃত্যুর ভয়! মৃত্যুর ভয় যখন অন্তরে ঢুকে যায়, তখন এই দুনিয়াটা মূল্যহীন হয়ে পড়ে।
[৯] শুধু বিমানবালা কিংবা সেবকরা নয়। মৃত্যুভয় সবার আছে। সবাই চায় সুস্থ থাকতে। অন্তত যে কয়দিন বেঁচে আছে সে কয়দিন যেন মানুষ সুস্থ থাকতে পারে এটাই কামনা করে।
আপনার মতামত লিখুন :