শাহানুজ্জামান টিটু : [২] শর্তে সাপেক্ষে মুক্তির অন্তত দুই মাস পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ দিয়েছেন। ঈদের পরদিন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
[৩] যদিও এ সাক্ষাৎ নিয়ে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, তার সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয়ে কথা হয়নি। তিনি নেত্রীকে দেখেছেন এবং নেত্রীর সঙ্গে কুশলাদি বিনিময় হয়েছে। এরবাইরে আর কোনো আলাপ হয়নি।
[৪] সূত্র জানায়, দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে। কিন্ত কোনো পক্ষই এ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে রাজি নন। কারণ খালেদা জিয়ার মুক্তির মধ্যে একটি শর্তই হচ্ছে তিনি রাজনৈতিক কোনো কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে পারবেন না। ফলে নতুন করে কোনো বির্তকে জড়াতে চান না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
[৫] সূত্র আরো জানায়, তার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে বাসভবনে ডেকে নেন খালেদা জিয়া। এরপর শিমুল বিশ্বাসকে পাঠানো হয় ঐক্য ফ্রন্টগঠনের অন্যতম শুভাকাঙ্খি বর্তমানে করোনায় আক্রান্ত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কাছে। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ঈদ উপহার পৌঁছে দেন।
[৬] দলের সিনিয়র এক নেতা জানান, এ সাক্ষাৎতের মধ্যে দিয়ে খালেদা জিয়া বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সর্ম্পকে অবগত হয়েছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন ২০দলীয় জোটের কার্যক্রম স্তবির। এই জোটের অন্যতম প্রধান শক্তি জামায়াতের ভার আর বহন করতে রাজী নন দলের সিনিয়র নেতারা। ফলে মনস্তাতিকভাবে জামায়াতের সঙ্গে একধরনের দুরুত্ব তৈরি হয়েছে দলের মধ্যে।
কর্নেল অলির নেতৃত্বাধীন এলডিপির সঙ্গে নানা কারণে দ্বন্দ সৃষ্টি হওয়ায় তিনিও এখন আগের মত সক্রিয় নন। সব মিলিয়ে বিএনপি নেত্রী ঐক্যফ্রন্টের রাজনীতির উপর আস্থা রাখতে চান।
[৭] মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ হয় বলে জানিয়েছেন গণফোরামের একাংশের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। ফ্রন্টের শরীক অন্য দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে।
[৮] বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি রাজনীতি করার মত অনুকুল নয়। ঐক্যফ্রন্টের একটা উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলো। আমরা সেখান থেকে সরে আসিনি। ২০ দলীয় জোট আছে থাকবে।