ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সর্বপ্রথমে মনে রাখতে হবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। পৃথিবীতে যত মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের ৮০ শতাংশেরও বেশি বাসায় থেকেই নানাভাবে উপশমের চেষ্টা করছেন।
[৩] বাসায় অবস্থান করে চিকিৎসা নেবার ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, যদি সন্দেহ হয় যে আপনার মধ্যে কোভিড-১৯-এর এক বা একাধিক লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে পরিবারের অন্য সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন বা 'আইসোলেট' করুন। এতে অন্যদের মাঝে সংক্রমণের আশংকা কমে আসবে।
[৪] যেহেতু কোনো ওষুধ নেই, সেজন্য সাধারণ সর্দি-কাশির ক্ষেত্রে যে ধরণের পদক্ষেপ নেয়া হয় সেগুলো অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, প্যারাসিটামল খাওয়া এবং 'গার্গল' করা যেতে পারে। জ্বর এলেই আতঙ্কিত না হাবার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
[৫] যদি কফ জমে থাকে, বসার সময় পিঠে ভর দিয়ে হেলান দিয়ে না বাসাই ভালো। মেরুদণ্ড সোজা করে বসতে হবে। এতে কফ কিছুটা হালকা হয়ে আসতে পারে। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, কফ হালকা করার জন্য এক চামচ মধু খেতে পারেন। এতে উপকার হতে পারে। তবে ১২বছর বয়সের নিচে বাচ্চাদের মধু দেয়া যাবে না।
[৬] দেশে এখন ৪৫টির মতো ল্যাবরেটরিতে করোনা ভাইরাসের টেস্ট করানো হচ্ছে। আপনার নিকটস্থ টেস্ট সেন্টার কোথায় হতে পারে সে সংক্রান্ত খোঁজ রাখুন। কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাসায় গিয়ে নুমনা সংগ্রহ করছে। তাদের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে রাখতে পারেন।
[৭] শ্বাসকষ্ট হলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন হয়। রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় অক্সিজেন নিতে পারেন। বক্ষব্যধি হাসপাতালের চিকিৎসক কাজী সাইফুদ্দিন বেন্নুর বলেন, অক্সিজেন বাসায় নেবার সিস্টেম আছে। আমরা যখন লং টাইম অক্সিজেন থেরাপি দেই, তখন অক্সিজেন বাসায় নিতে বলি। কোভিড-১৯ রোগীদের ক্ষেত্রে হাই ফ্লো অক্সিজেন দিতে হবে।
[৮] এই সময়টিতে অনেক চিকিৎসক রোগীদের সরাসরি দেখছেন না। অধিকাংশ ডাক্তারের চেম্বারও বন্ধ থাকলেও গত ২ মাসে বহু ডাক্তার টেলিফোন এবং ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। যেসব প্রতিষ্ঠান এ ধরণের সুবিধা দিচ্ছে তাদের ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখতে পারেন। টেলিফোন নম্বর জানা থাকলে প্রয়োজনের সময় দ্রুত কাজে লাগবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা নিয়ে ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত সন্তুষ্ট হতে পারেন। বেশিরভাগে ক্ষেত্রে রোগীদের উদ্বেগ প্রশমনেও ভূমিকা রাখে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা। বিবিসিবাংলা, কালেরকণ্ঠ
আপনার মতামত লিখুন :