আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] শেতাঙ্গ পুলিশের হাতে এক কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহত হবার দুই দিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলোতে বিক্ষোভকারীরা মিছিল শুরু করেছেন। সোমবার মিনিয়াপোলিসে হত্যার শিকার হন জর্জ ফ্লয়েড। সেই শহরে শুরু হয়েছে দাঙ্গা। ফক্স, সিএনএন, এবিসি
[৩] মিনিয়াপোলিশে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় বিক্ষোভকারীরা। জবাবে পুলিশও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে। বেশ কিছু দোকানপাটেও আগুন লাগিয়ে দেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
[৪] বুধবার স্থানীয় সময় রাতে মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ বর্তমান পরিস্থিতিকে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি সকল বিক্ষোভকারীকে শান্তিপূর্ন থাকার আহ্বান জানান। ফ্লয়েডের পরিবারও একই আহ্বান জানিয়েছে।
[৫] এর আগে পুলিশ জানায়, বিক্ষোভের স্থানে এক ব্যক্তি গুরুতরভাবে গুলিতে আহত হয়েছেন। পুলিশ এই ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করছে।
[৬] লস অ্যাঞ্জেলেসে কয়েকশ মানুষ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে। এক পর্যায়ে তারা একটি ক্যালিফোর্নিয়া হাইওয়ে পেট্রোল কারে হামলা চালায়।
[৭] এক বিবৃতিতে লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি শেরিফ অ্যালেক্স ভিলানুয়েভা বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ আমাদের দেশের প্রতীক। সংঘাত কখনই কাম্য নয়। এতে সত্যিকারের বার্তা প্রদান সম্ভব হয় না। আমি সকলকে নিরাপদে ও শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ প্রদর্শণের আহ্বান জানাবো।’
[৮] টেনেসির মেমফিসের রাস্তায় স্বশস্ত্র দাঙ্গা পুলিশ নামানো হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন ২ জন।
[৯] ফ্লয়েডের শেষ মুহূর্তের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত হয়ে পড়েন মার্কিনিরা। ছবিতে দেখা যায়, তিনি মাটিতে পড়ে আছেন। তার উপরে হাটু দিয়ে বসে আছে এক শেতাঙ্গ পুলিশ।