ইসমাঈল আযহার: [২] বয়স হলে ভালো হয়ে যাবো এমন একটা ধারণা অনেকেই পুষে রাখেন। আবারও অনেকে ভাবেন, চুল-দাড়ি পাকতে শুরু করলে নামাজ রোজা ও ভালো কাজের দিকে ধাবিত হবেন। কিন্তু মৃত্যু এক অনাকাঙ্ক্ষিত আগন্তুক। কখন কীভাবে কোন অবস্থায় কার মৃত্যু হবে কেউ জানে না। মৃত্যুর পর আমাদের জীবনের ছোট বড়, ভালো মন্দ সব কাজের বদলা দেওয়া হবে। দুনিয়াতে হয়ত অনেক সময় শক্তি ও ক্ষমতা থাকায় আমাদের কেউ কিছু বলতে পারে না। অনেকের বিচার হয় না। কিন্তু মৃত্যুর পর আমাদেরকে অবশ্যই বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতেই হবে।
[৩] কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ভয় কর সেদিনকে, যেদিন তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে আল্লাহ তাআলার কাছে। অতপর প্রতিটি প্রাণকে বদলা দেওয়া হবে- যা সে অর্জন করেছিল। তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না। (সূরা বাকারা)
[৪] সুতরাং এ দুনিয়াতে আমরা যা অর্জন করছি, তা আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। পরিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সঠিকভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। এটা মনে রেখেইে আমাদের কাজ করতে হবে। এখন আপনারা আমেরিকায় বসে আমার কথা শুনছেন। আর আমি ঢাকা থেকে কথা বলছি। আমাদের এ কাজের লক্ষ্য- এ কথা মনে করিয়ে দেওয়া যে, আমাদের একদিন আল্লাহর সামনে দাঁড়াতে হবে। এজন্য আমাদের তৈরি হতে হবে।
[৫] আখেরাত চিরস্থায়ী। দুনিয়া ক্ষণস্থায়ী। এটাকে আল্লাহ তাআলা সুন্দরভাবে সূরা রূম-এ বলেছেন। ‘‘তারা দুনিয়ার বাহ্যিক দিক খুব ভালো জানে। কিন্তু আখেরাতের ব্যাপারে গাফেল। (সূরা রূম)
[৬] সুরা ফুরকানে আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা কুফর অবলম্বন করেছে, তারা বলে, এটা (কুরআন) এক মনগড়া জিনিস ছাড়া কিছুই নয়, যা সে (মুহাম্মাদ স.) নিজে রচনা করেছে এবং অপর এক গোষ্ঠী তাকে এ কাজে সাহায্য করেছে। এভাবে তারা ঘোর জুলুম ও প্রকাশ্য মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছে। (সূরা ফুরকান)
[৭] আমরা কেউই জানিনা কখন কীভাবে আমাদের মৃত্যু চলে আসে। অতএব সর্বদা ভালো করা কাজ করা উচিৎ। আমাদের দ্বারা যেন কেউ কষ্ট না পায় যা আমাদের পরকালের নাজাতের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এবং আমরা যেন আমাদের অধিনস্তদের হক পরিপূর্ণ আদায় করতে পারি। কিয়ামতের আল্লাহর হক তিনি ক্ষমা করলেও বান্দার হক ক্ষমা করবেন না। আল্লাহ তায়ালা সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।