শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ২৮ মে, ২০২০, ১০:১৫ দুপুর
আপডেট : ২৮ মে, ২০২০, ১০:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঐক্যফ্রন্ট কি ফের চাঙ্গা হয়ে উঠবে?

রাশিদ রিয়াজ : সরাসরি রাজনৈতিক বিষয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বিধিনিষেধ মেনেই মুক্তি পেয়েছেন। এর দুই মাসের মাথায় তার দলের নেতা ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা তার সঙ্গে দেখা করছেন। কথাবার্তা হচ্ছে। করোনাপরিস্থিতি সামাল দিয়ে কি করা যায় এমন চিন্তাভাবনা বিএনপি নেতাদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তারাও মনে করছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা ফের একটা উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন। আর সরকারি দলের নেতারা বিষয়টির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন।

বেগম জিয়ার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ইতিবাচক মনোভাব ছিল এবং এখন তা আরও কার্যকর দেখতে চান খালেদা জিয়া। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট তার এ চাওয়া নিয়ে বেশিদূর এগিয়ে যেতে পারেনি। বিএনপির নেতৃত্বাধীন আরও একটি জোট রয়েছে। তবে এজোটের অস্তিত্ব রাজনৈতিক ময়দানে অনুপস্থিত প্রায়। জোটের প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন নেই। দলটির কর্মকান্ড অনেকটাই সীমিত। আরেক শরিক বিজেপি জোট ছেড়েছে। ইসলামি ঐক্যজোটের মূল অংশটি জোটে নেই। এলডিপির সঙ্গেও জোটের সম্পর্ক ভালো নয়। বিএনপির অনেক নেতাই বলছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিএনপির কাছে প্রধান সরকারবিরোধী রাজনৈতিক জোট হোক বেগম জিয়া তা চান। জামায়াত এই জোটে না থাকায় বাম ও অপেক্ষাকৃত লিবারেল দলগুলোর যে এগিয়ে আসার ইঙ্গিত আগে ছিল তাও দানা বেঁধে উঠতে দেখা যাচ্ছে না।

করোনার কারণে সামাজিক বা শারীরিকভাবে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বেগম জিয়ার সঙ্গে বিভিন্ন দলের নেতাদের দেখা হলেও তাদের রাজনৈতিক চিন্তার ও ঐক্যের মধ্যে দূরত্ব দূর হয়ে গেছে কি না তা বলা কঠিন। কিন্তু তারা মিডিয়ার সামনে বলছেন দল অনেকটা চাঙা। এর নজির সাধারণ মানুষ কবে নাগাদ দেখতে পাবে তার আরেক সম্ভাবনা নির্ভর করছে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপরেও।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি, গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য ও জেএসডি মিলে গড়ে তোলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। নির্বাচনে ভরাডুবির পর এর কারণ খতিয়ে দেখে জোটের শরিকদলের মধ্যে একাট্টা হওয়া তো দূরের কথা বরং মনোমালিন্য দেখা দেয়। পারস্পরিক দোষারোপে তা আরো সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিএনপির যেসব নেতা নিয়মিত জোটের বৈঠকে অংশ নিতেন তারও যাওয়া বন্ধ করেন।

মির্জা ফখরুলও জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে অংশ নেয়া বাদ দেন। তারপরও শরিক দলগুলো যে যার মতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এখন বেগম জিয়ার শর্তসাপেক্ষ মুক্তি কি সেই স্তিমিত জোটকে ফের চাঙ্গা করে তুলতে পারবে। এ রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর পেতে তারা হয়ত নিজেদের মধ্যে পরিস্থিত বোঝার চেষ্টা করছেন। পর্যবেক্ষণ করছে সরকারি দলও।

খালেদা জিয়া মুক্তি পাওয়ার পর তার সঙ্গে দেখা করার পর মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন উনি কেমন আছেন, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক আলাপ হয়নি। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে বিএনপির নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা নিয়মিত হয় এটা ঠিক। তবে কোনো রাজনীতি নেই। সবাই একটা ভাল পরিস্থিতির জন্যে অপেক্ষা করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়