বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] ব্যাংকার্স এ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি জানান, এবিষয়ে ন্যাশানাল ব্যাংকের তরফ থেকেও একটি বিষয় অফিশিয়ালি জানানো হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা এক্সিম ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদনই করেননি। আবার এক্সিম ব্যাংকের তরফে থানায় মামলা হয়েছে। সুতরাং আমাদের কোন কিছু করার বা বলার জন্য সময় প্রয়োজন।
[৩] থানায় যে অভিযোগ হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, সিকদার গ্রুপের এমডি রন হক সিকদার ও তাঁর ভাই দিপু হক সিকদার অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ঋণ দিতে এক্সিম ব্যাংকের এমডি ড. মোহম্মদ আয়দার আলী মিয়া ও এএমডিকে চাপ দেয়। তারা তাদের বাসায় এ দুজনকে আটক করে রাখে। নির্যাতন করে। গুলিকরে খোঁড়া করে দেবার হুঁমকি দয়ে। পরে সাদা কাগজে সাক্ষর রেখে তাদের ছেড়ে দেয়। এ নিয়ে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে দুই ভাই পলাতক।
[৪]ঘটনাটি ঘটেছে বনানীর ১১ নম্বর সড়কের সিকদার হাউসে গত ৭ মে। মূলত এক্সিম ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি টাকা ঋণ চেয়ে সময়মতো না পাওয়াতেই চলে এ নির্যাতন। এ ঘটনার পর মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ব্যাংকের দুই শীর্ষ কর্মকর্তা, আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। মামলার বাদি হয়েছেন, এক্সিম ব্যাংকের আরেক পরিচালক ল্যাফটেন্যান্ট কর্ণেল(অব)সিরাজুল ইসলাম। ১৯ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটে। কিন্তু মামলা হয়েছে ৭ মে। এ নিয়ে বাদী পক্ষ বলেছে, ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে মালাটি করতে সময় লেগেছে।
[৫] ৫০০ কোটি টাকা ঋণের জন্য বন্ধকি দেওয়া সম্পত্তি দেখাতে নিয়ে গিয়েই জিম্মি করা হয় এই দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে। এরপর বনানীর বাসায় ধরে আনা হয়। দুপুর ১২ টায় জিম্মি হওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পান শীর্ষ পর্যায়ের এই দুই ব্যাংক কর্মকর্তা। এ সময় সিকদার গ্রুপের মালিকানাধীন ন্যাশনাল ব্যাংকের এমডি চৌধুরী মোসতাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।