ইয়াসিন আরাফাত : [২] মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অপ্রমাণিত তথ্য’ প্রচারের অভিযোগ তুলতেই এই হুমকি দেন তিনি। পাশাপাশি তার এজেন্ডাগুলো যেসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সমর্থন করবে না সেগুলোকেই বন্ধ করে দেয়া হবে বলে বুধবার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। বিবিসি, রয়টার্স, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, আজকাল
[৩] জানা গেছে, নির্বাচনের পোস্টাল ব্যালট পদ্ধতিতে অনেকরকম কারচুপি হয় বলে দাবি করেন ট্রাম্প। টুইটারে এবিষয়ে মঙ্গলবার ও বুধবার দু’টি পোস্টও করেন তিনি। কিন্তু এই দাবির সপক্ষে কোনও ভিত্তি দিতে পারেননি তিনি। তাই টুইটার কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘অপ্রমাণিত তথ্য’ প্রচার করার অভিযোগ তুলে দু’টি পোস্টের নীচেই পোস্টের ভিত্তি দাবি করে কমেন্ট করে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
[৪] ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পরেই আমেরিকায় সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দিয়ে তিনি বলেন, এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার যাতে না ঘটে, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারি চালাতে হবে অথবা এদের সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিতে হবে। তবে এই বিষয়টিও তিনি জানান সেই টুইটার একটি পোস্টের মাধ্যমে।
[৫] শুধু তাই নয়, এসময় তিনি টুইটারের এক পোস্টে দাবি করেন, গত নির্বাচনেও সোশ্যাল মিডিয়া তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করেছিল। কিন্তু তাও জিততে পারেনি। তার পোস্টে তিনি লিখেন, ‘যে সবথেকে বেশি জালিয়াতি করেছে, সেই জিতবে। ঠিক যেমন সোশ্যাল মিডিয়া, তোমরাও তোমাদের কাজকর্মগুলো বন্ধ করো, এখনই!’
[৬] তবে একের পর এক তথ্য ট্রাম্পের বিরুদ্ধেই কথা বলছে। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, ২০১৬ সালে নির্বাচনে জেতার আগে এই ডোনাল্ড ট্রাম্পের আইটি সেলই সবচেয়ে বেশি গুজব ছড়িয়েছিলো। ‘ব্যারাক ওবামা সেদেশের নাগরিক নন, তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কোনও যোগ্যতা নেই’ এই বিখ্যাত গুজবটিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোণায় কোণায় ছড়িয়েছিল ট্রাম্পের আইটি সেল। এছাড়াও, আমেরিকার বিখ্যাত টেলিভিশন হোস্ট চার্লস জোসেফ স্কারবরোর বিরুদ্ধে একজন সরকারি কর্মকর্তাকে খুনের অভিযোগও তুলেছিলেন তিনি। পরে এই গুজব মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছিল।