
[৩] বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন আয়োজিত সমন্বয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, অহেতুক ঘর থেকে বের হয়ে ঘোরাঘুরি করায় করোনা রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে বেড়েছে। সবাইকে চিন্তা করতে হবে আমরা একটি উন্নয়নশীল দেশ। এখানে জীবন জীবিকা দুটিই রক্ষা করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে যেখানে এখনো ডজন ডজন মানুষ প্রতিদিন মারা যাচ্ছে, সেখানেও অনেক জায়গায় লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। আমার সুরক্ষা যদি আমি না নিই তাহলে কাউকেতো জোর করে নেওয়ানো সম্ভব নয়।
[৪] করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় চট্টগ্রামের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্যমন্ত্রী। সভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগ সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি, ওয়াসিকা আয়েশা খানম এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, বিভাগীয় কমিশনার এবিএম আজাদ, জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, সিএমপি কমিশনার মাহাবুবুর রহমান, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক হাসান শাহরিয়ার কবির, সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বিসহ সিভিল প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিসহ সরকারি বিভিন্ন বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
[৫] ড. হাছান বলেন, পৃথিবীর কোন দেশ করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্ত নয়। উন্নত দেশগুলো করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যুদস্ত। অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে যেখানে স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ও ব্যবস্থাপনা আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত সেখানে শনাক্তরোগীর ৬ ভাগ মারা যাচ্ছে।
[৬] তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। একারণে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অনেক দেশের মত ভেঙ্গে পড়েনি। পাকিস্তানেও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙ্গে পড়েছিল। সেখানে ডাক্তারদেরকে এরেস্ট করতে হয়েছে হাসপাতাল চালু রাখার জন্য। বাংলাদেশে সেরকম পরিস্থিতি হয়নি।
[৭] সাহসিকতার সাথে এই পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্তদের সেবা দিয়ে যাওয়ায় দেশের চিকিৎসকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, অনেকে অহেতুক সরকারের সমালোচনা করেন। আমাদের ব্যবস্থাপনা যদি ভাল নাহতো বা খারাপ হতো তাহলে এই শনাক্ত রোগীর মৃত্যুর হার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশেও বেশি হতো। বরং আমাদের দেশে অন্যান্য দেশের তুলনায় এখন কম।
[৮] তিনি বলেন, মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও জীবন রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী পরিস্থিতি মোকাবেলা করছেন। বাংলাদেশের মতো ১৭ কোটি মানুষের একটি উন্নয়নশীল দেশে দু’মাসের বেশি সময় সারাদেশের সমস্ত কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। দু’মাস ধরে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসছে সরকার। এখনো একজন মানুষও অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি।
[৯] তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, করোনা ভাইরাসের মধ্যে তারা সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে সমস্ত প্রতিকূলতায় কাজ করছেন। ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক সাংবাদিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনজনের বেশি সাংবাদিক মারা গেছেন।