শওগাত আলী সাগর : কোভিড ভাইরাস বিস্তারের শুরুর দিকেই তার স্ত্রী সোফি লন্ডনের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় সোফির টেস্ট হলেও ট্রডোর কোনো টেস্ট হয়নি। দুজনেই আইসোলেশনে চলে যান।
সোফির টেস্টে পজিটিভ হওয়ার পরও জাস্টিন ট্রুডো কেন টেস্ট করালেন না? সে সময় টেস্টের সুযোগ সীমিত ছিলো, সব নাগরিকদের টেস্ট করানো যাচ্ছিলো না। সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিলো কেবল লক্ষণ দেখা গেলেই তাদের টেস্ট করা হবে। ট্রুডো নিজেও সেই নীতি অনুসরণ করাকেই গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন। একই বাসায় থাকা স্ত্রীর পটজিটিভ হ্ওয়া, তিনি স্ত্রীর সংস্পর্শে আসা সত্বেও কোনো লক্ষণ না থাকায় তিনি নিজের টেস্ট করানো থেকে বিরত থাকেন।
এখন কি তিনি টেস্ট করাবেন? এই প্রশ্নরও উত্তর দিয়েছেন তিনিই। কানাডা চাচ্ছে দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকেরই টেস্ট হবে- সেই ব্যবস্থা করতে। কারা আক্রান্ত হয়েছে কেবল তা নয়, কারা আক্রান্ত হয়েছিলো এবং কারা একেবারেই আক্রান্ত হয়নি, সেই তথ্যও জানতে চায় কানাডা। ট্রুডো বলছেন, যখন প্রতিটি নাগরিকের টেস্ট সুবিধা নিশ্চিত করা যাবে তখনি তিনি নিজের টেস্ট করাবেন।
সব রাজনীতিকই এভাবে ভাবতে পারেন না। কেউ কেউ পারেন। একটা দেশ তো এমনিতেই এগিয়ে যায় না!