লিহান লিমা: [২] বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমেরিকার মহাদেশের দেশগুলোকে করোনা ভাইরাস জনিত নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে। প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশন বলেছে, আসছে সপ্তাহে সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে চলেছে আমেরিকা। দ্য গার্ডিয়ান, ডয়েচে ভেলে
[৩] গত সাত দিনে বিশ্বের অন্য যে কোনো স্থানের চাইতে ব্রাজিলে সবচেয়ে বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। দেশটিতে প্রতিদিন করোনায় মৃত্যু প্রায় ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
[৪] হু এর আঞ্চলিক নির্বাহী ক্ল্যারিসা টেইনি বলেন, ব্রাজিল, পেরু, চিলি, এল সালভাদর, গুয়েতেমালা ও নিকারাগুয়ায় কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়েই বলেছে। টেইনি আরো বলেন, এই অঞ্চল এখন করোনা সংক্রমণের এপিসেন্টারে পরিণত হয়েছে। দিনপ্রতি সংক্রমণে ল্যাটিন আমেরিকা এখন ইউরোপ ও আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। গত সপ্তাহে দক্ষিণ আমেরিকায় সংক্রমণ জোরদার হয়েছে।
[৫] ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭৫ হাজার। দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। হু ব্রাজিল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বলেছে, অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় চালু করার বদলে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে টেস্টিং, ট্রেসিং ও আইসোলেশন বাড়াতে হবে।
[৬] যদিও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জেইর বোলসানারো লকডাউনে বিরুদ্ধে ক্রমাগত তোপ দাগছেন। তিনি বলছেন, স্বাস্থ্য ঝুঁকির চাইতেও অর্থনৈতিক অচলাবস্থার জন্য চরম মূল্য দিতে হবে।
[৭] ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের আগাম সমীক্ষায় বলা হয়েছে, আগস্ট নাগাদ করোনায় ব্রাজিলে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। একই সময়ে পেরুতে ২০ হাজার ও চিলিতে ১২ হাজার, মেক্সিকোতে ৭ হাজার, ইকুয়েডের ৫ হাজার, আর্জেন্টিনায় ৫ হাজার ৫০০ ও কলম্বিয়ায় ৪ হাজার ৫০০ প্রাণের ক্ষয়ক্ষতি হবে।
[৮] বিশ্বজুেেড় করেনায় মৃতের সংখ্যা ৩ লাখ ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে ৫ লাখ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ আমেরিকা। সেখানে করোনায় মৃত্যু ১ লাখের ঘরে গিয়ে পৌঁছেছে।
আপনার মতামত লিখুন :