ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] প্রতিবার ঈদের আগে ছিনতাই ও পরে চুরির ঘটনার খবর পাওয়া গেলেও এবারের ঈদে এ ধরনের চিত্র নেই বললেই চলে। রাজধানীর ৫০ থানা এলাকায় চুরি, ছিনতাইসহ উল্লেখযোগ্য কোনো অপরাধকান্ডের খবর পাওয়া যায়নি।
[৩] পুলিশ বলছে, করোনার কারণে মানুষ সচেতন হচ্ছে। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া তেমন কোনো অপরাধমুলক কর্মকান্ডের খবর নেই। এরপরও পুলিশ তৎপর রয়েছে। প্রতিবারে ঈদ ঘিরে মৌসুমি অপরাধীরা সক্রিয় হয়, তবে এবার তা ঘটেনি। এছাড়াও করোনা সচেতনতায় সার্বক্ষণিক মাঠে পুলিশ থাকায় অপরাধ কমেছে।
[৪] বর্তমানে থানায় মামলা রেকর্ডের হারও অনেক কম। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সর্বত্রই এমন অবস্থা বিরাজ করছে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাও কমে এসেছে। তবে ঘরবন্দি থাকায় পারিবারিক সহিংসতা বেড়েছে। করোনা ভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এমন চিত্র বেরিয়ে এসেছে।
[৫] জানা গেছে, গত বছর ঢাকায় ২০৮টি খুনের ঘটনা ঘটে। এ বছরের প্রথম দুই মাসে ঘটেছে ২১টি খুনের ঘটনা। আর করোনাকালে মার্চে ১৭টি ও এপ্রিলে ৮টি খুনের ঘটনা ঘটেছে। একইভাবে ২০১৯ সালে ডাকাতি ও দস্যুতার ঘটনা ঘটেছিল ১৭৬টি। কিন্তু এ বছরের প্রথম তিন মাসে ৫৩টি ডাকাতি ও দস্যুতা সংঘটিত হয়েছে। এপ্রিলে এই সংখ্যা কমে এসেছে ৬টিতে।
[৬] চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে ৩ হাজার ৭২৯টি মামলা হয়। এপ্রিল মাসে হয়েছে ১২৩টি উদ্ধারজনিত মামলা। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে চুরির ঘটনা ঘটেছে ৫৪৯টি। আর এপ্রিলে ৪৬ চুরির ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষণসহ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাও কমে এসেছে। গত বছর ধর্ষণ, এসিড নিক্ষেপ, নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে ২ হাজার ৪০৮টি। এ বছরে এপ্রিলে ঘটেছে ৪৯টি।