শিমুল মাহমুদ: [২] সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে বাড়ি ফেরা মানুষের এবার ঢাকা ফেরার পালা। ধারণা করা হচ্ছে, জীবিকার তাগিদেই কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকামুখী হবে মানুষের ঢল। এতে পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়াবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ডা. মুশতাক আহমেদ।
[৩] তিনি বলেন, আমরা যদি সক্রিয়ভাবে রোগীদের শনাক্ত করে আলাদা না করতে পারি আপনা-আপনি রোগটা বাংলাদেশ থেকে কমে যাবে না। রোগী বাড়তেই থাকবে। বাড়ন্ত অবস্থায় অনেক দিন থাকবে। এতে হয়তো আমরা কোনো কাজেই করতে পারবো। আমাদের বেচেঁ থাকার জন্য সীমিত আকারে হলেও কাজ করা দরকার। সেই সঙ্গে যেখানে রোগী পাওয়া যাবে সেখানে কঠোরভাবে কোয়ারেন্টাইন ও আইসোলেশন করতে হবে।
[৪] ডা. মুশতাক আহমেদ বলেন, ঢাকা ফেরার পথে মানুষকে কোনো রকম ভীড় করতে দেওয়া যাবে না। অনেকে যাতায়তের সময় ব্যক্তিগত গাড়ির জানালা খুলে রাখেন। এতে সংক্রমণের সম্ভাবনা কম থাকলেও ফেরিঘাটে এসে ভীড়টা হয়। তাই ফেরিতে কত লোক উঠবে সেটা সীমিত করে দেওয়া দরকার। যদি গায়ে গায়ে লেগে আসেন তাহলে ফেরার পথে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
[৫] যারা স্থান পরিবর্তন করবে শহর থেকে গ্রামে বা শহর থেকে শহরে সেখানে এলাকা ভিত্তিক বা কর্মক্ষেত্র ভিত্তিক কোয়ারেন্টাইন করতে হবে। অথবা এমন জায়গায় কাজ করবে যে জায়টায় কোয়ারেন্টাইন। সেখান থেকে শ্রমিক, কর্মচারি, মালিক কেউ বের হবে না।
[৬] ছোট প্রতিষ্টানের ক্ষেত্রে সেখানেই থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সেভাবে স্বাস্থ্যগত বেস্টনি করে সেখানে খাওয়া দাওয়া কাজকর্ম করে ঘুমাবে। যারা পারবে না তাদেরকে কোয়ারেন্টাইন করে ঢুকতে হবে। এ কাজ অসম্ভব কিছু না বা লাখ লাখ টাকা লাগবে সেটাও না।
[৭] কোয়ারেন্টানে থাকা অবস্থায় যদি কারো জ্বর আসে বা কোনো উপসর্গ দেখা দেয় চিকিৎকের পরামর্শ অনুযায়ী তারা আইসোলশনে যাবে। এ জন্য হাসপাতাল প্রয়োজন নেই।
[৮] সামাজিকভাবে যারাপ্রান্তিক মানুষ তারা এটাকে খুব একটা গুরুত্ব দেয় না। তারা মনে করেন কিছুই হবে না আমাদের। এদেরকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কমিউনিটি আইসোলোশনে নিতে হবে। যেখানে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে। এজন্য বাণিজ্যকেন্দ্র বা যাতায়তের পথে স্টেশন গুলোতে, মালিক সমিতি, স্থানী সরকার কতৃপক্ষ, পুলিশ স্বাস্থ্যবিভাগ বিশেষ সহযোগীতা দরকার।