ডেস্ক রিপোর্ট : [২] সংক্রমণ ‘কিছুটা নিয়ন্ত্রণে’। তবে একেবারে কমেনি। আছে নতুন বিপদের সম্ভাবনা। কিন্তু অর্থনীতি তো বাঁচাতে হবে। আর সেই লক্ষ্য নিয়েই নাগরিকদের ‘নতুন জীবনযাপনে’ অভ্যস্ত হওয়ার পরামর্শ দিয়ে রাজধানী টোকিওসহ চারটি অঞ্চল থেকে জরুরি অবস্থা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
[৩] জাপানে এতদিন যে নিয়ম জারি ছিল তাকে বলা হয়েছে ‘করোনাভাইরাস স্টেট ইমার্জেন্সি।’ জাপান টাইমস জানিয়েছে, চারটি অঞ্চল থেকে স্টেট ইমার্জেন্সি উঠিয়ে দেয়ার কারণে সারা দেশে আগের মতো বাধ্যবাধকতা আর থাকবে না।
[৪] ‘দেশজুড়ে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা সম্প্রতি পঞ্চাশের নিচে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের ক্ষেত্রে একটা সময় এটা ১০ হাজারের মতো ছিল। সেটি এখন ২ হাজারে,’ আবে সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যে শর্ত এখন বাতিল করছি, সেটা বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় অনেক কঠিন ছিল।’
[৫] আবে নাগরিকদের সতর্ক করে বলেন, ‘জরুরি অবস্থা তুলে দেয়া মানেই মহামারীর শেষ নয়।’
[৬] তিনি তার ভাষণে ‘ত্রি-সি’কে এড়িয়ে চলতে বলেন- ক্লোজ স্পেস (সংকীর্ণ জায়গা), ক্রাউডেড প্লেস (জনাকীর্ণ স্থান) এবং ক্লোজ কন্টাক্ট (বেশি কাছাকাছি থাকা)।
‘যদি আমরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করি, সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে…আমাদের সজাগ থাকতে হবে,’ মন্তব্য করে আবে বলেন, ‘আমাদের নতুন জীবনযাপনের ধরণ সৃষ্টি করা প্রয়োজন; এখন থেকেই চিন্তাভাবনায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।’
[৭] জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাপানে কভিড-১৯ রোগে ১৬ হাজার ৬২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৮৫০ জন।
[৮] সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে দেশটির অর্থনীতি একদম ধসের দিকে। আবে গত ৭ এপ্রিল জাপানের বিভিন্ন অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। দেশ রূপান্তর, যুগান্তর