সমীরণ রায় : [২] বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেছেন, ‘ঢাকা ছাড়া যাবে না, ফেরি চলাচল বন্ধ করা হলো। আবার ঢাকা ছাড়া যাবে, তবে ব্যক্তিগত গাড়িতে। সরকারের পরস্পরবিরোধী এই ধরনের সিদ্ধান্তে ঈদেও মহাবিপর্যয়ে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যারা ঢাকা ছেড়ে যাবেন তারা অধিকাংশ শ্রমজীবী নিম্ন আয়ের মানুষ। তারা ব্যক্তিগত গাড়ি কোথায় পাবেন? তাহলে গণপরিবহন বন্ধ কেন? কারা দিনরাতের ব্যবধানে এসব পরস্পরবিরোধী সিদ্ধান্ত নেন? কেন লক্ষ লক্ষ মানুষকে এভাবে চূড়ান্ত ঝুঁকির মধ্যে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, কারা এর উত্তর দেবেন?
[৩] তারা বলেন, দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার মধ্য দিয়ে সংযম ও সহমর্মিতার শিক্ষায় সমুজ্জল ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিমের দ্বারে উপস্থিত। সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এ বছর ঈদ কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপন করতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে স্বাস্থ্য সতর্কতা প্রতিপালনে বিশেষ গুরুত্বারোপ করতে হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশে যোগ হয়েছে সাম্প্রতিক আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতি। চলমান দুর্যোগ মোকাবিলায় মাহে রমজানের ধৈর্য ও সহমর্মিতার শিক্ষাকে কাজে লাগাতে হবে।
[৪] তারা বলেন, করোনাভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণের পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ এর আঘাতে বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পরস্পরের সহযোগিতা ও ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্যাগ স্বীকারের মাধ্যমে ঈদুল ফিতর উদযাপন করতে হবে।
[৫] করোনার প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুবরণকারীদের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তারা। একই সঙ্গে আক্রান্ত ও অসুস্থদের আশু সুস্থতাও কামানা করেন। পারস্পরিক সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও মহান আল্লাহর সাহায্যের মাধ্যমে বিশ্ববাসী চলমান সংকট ও মহাদুর্যোগ উত্তরণে সক্ষম হবে বলে আশা করেন ন্যাপের এই দুই নেতা।
[৬] শনিবার পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।