মো. শহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম : [২] বাবার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প পরিবার এস আলম গ্রুপের পরিচালক (বিপনন) ও গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই মোরশেদুল আলমের (৬২)।
[৩] শুক্রবার মধ্যরাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম পটিয়ায় পৌর সদরের ৪ নং ওয়ার্ডে এস আলম জামে মসজিদ কমপ্লেক্স চত্বরে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
[৪] এর আগে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ইন্তেকাল করেছেন। মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে রাতেই তাঁর জানাযায় এস আলম পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ দেড় শতাধিক সদস্য অংশ নেন বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
মোজাহের আনোয়ার ও চেমন আরা বেগমের এই জ্যেষ্ঠ পুত্রের জানাজায় তার বাকি ছয় ভাইয়ের মধ্যে কেউই উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে মোরশেদুল আলমের দুই পুত্র মাহমুদুল আলম আকিব ও ফসিউল আলম, ভাগ্নে মোস্তান বিল্লাহ আদিল, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যানের পিএস আকিজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। পটিয়া উপজেলা প্রশাসন ও পটিয়া থানা পুলিশের সার্বিক তত্বাবধানে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
[৫] পরিবারের মেজ সদস্য ও এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বর্তমানে পরিবারসহ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন। অপর চার ভাই মোরশেদুল আলমের সঙ্গেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
গত ১৭ মে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ল্যাবের পরীক্ষায় সাইফুল আলম মাসুদের পরিবারের এই সদস্যরা করোনা পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হন। তারা হলেন, এস আলম গ্রুপের পরিচালক রাশেদুল আলম, এস আলম গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সামাদ লাবু, ইউনিয়ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও এস আলম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল আলম এবং এস আলম গ্রুপের পরিচালক ওসমান গণি। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ওই পরিবারের ৩৬ বছর বয়সী এক নারীও।
[৬] করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর থেকে মোরশেদুল আলম তার অন্য চার ভাইয়ের সঙ্গে নগরীর সুগন্ধার বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন কিন্তু বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিকেলে মোরশেদুল আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউ ওয়ার্ডে আগে থেকেই এস আলম পরিবারের আরেক সদস্য রাশেদুল আলম চিকিৎসাধীন ছিলেন। আইসিইউতে শয্যা না থাকায় তুলনামূলক ভাল অবস্থায় থাকা ছোট ভাই রাশেদুল আলমকে সরিয়ে মোরশেদুল আলমকে জায়গা করে দেওয়া হয়। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।