লিহান লিমা: [২] তাইওয়ান কখনোই চীন কর্তৃক নিজেদের অবস্থান খর্ব হতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাশাই ইং ওয়েন। সিএনবিসি, আল জাজিরা, দ্য গার্ডিয়ান
[৩] জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় আসার পর বুধবার অভিষেক বক্তব্যে তাশাই বলেন, ‘আমরা আগ্রাসন ও হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ করেছি। আমরা কর্তৃত্ববাদ থেকে গণতন্ত্রের পথে যাত্রা করেছি। আমরা আর কখনেই বেইজিংয়ের কর্তৃত্ববাদী ‘এক দেশ, দুই নীতি’ মেনে নেবো না। তাইওয়ান একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, আমরা পিপলস রিপাবলিক অব চায়নার অংশ হতে চাই না।’
[৪] তাশাই এ সময় বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনারও প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘমেয়াদে সহাবস্থানের লক্ষ্যে দুই দেশেরই বৈরিতা ও পার্থক্য প্রতিরোধ করার উপায় খোঁজা আবশ্যক।’
[৫] ২০১৬ সালে ডেমোক্রেট প্রগ্রেসিভ পার্টি থেকে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই বেইজিং ও তাইপেইয়ের মধ্যে শীতল সম্পর্ক বিরাজ করছে। তাশাই প্রথমবার নির্বাচনে জয় লাভ করার পর তাইওয়ানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক আলোচনার পথ বাতিল করে চীন।
[৬] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও তাশাইকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত হওয়ায় স্বাগত জানান। বিবৃতিতে তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য সহযোগী বন্ধু হিসেবে তাইওয়ানকে শক্রর থেকে সুরক্ষায় সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
[৭] বেইজিং বলেছে ‘তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদী স্বাধীনতা কার্যক্রম’ কোনো ভাবেই মেনে নেবে না চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানায়, পম্পেওর স্বাগত মন্তব্য তাইওয়ান ও চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
[৮] হংকং ও তাইওয়ানের ওপর শাসন বহাল রাখতে ‘এক দেশ, দুই নীতি’ ব্যবস্থা কার্যকর করে আসছে চীন। ১৯৯৭ সালে সাবেক ব্রিটিশ কলোনি হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাইওয়ানের ক্ষেত্রেও একই বিধি প্রযোজ্য হয়। তবে তাইওয়ানের প্রধান প্রধান দলগুলো এই নীতি প্রত্যাখ্যান করে আসছে।